ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপি’র সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে শনিবার সকালে দুইবার বাধার মুখে পড়েন বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এম.পি।
অবশেষে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই এলাকার বটতলী বাজারের সমাবেশস্থলে আসেন। তিনি সমাবেশস্থলের কয়েকশ গজ দূরে নেমে মঞ্চে যান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকের এ সমাবেশ প্রমাণ করে পুলিশ বাহিনী দিয়ে আওয়ামিলীগ পারবেন না। রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিয়েও নেতা-কর্মীদেরকে আটকে রাখতে পারেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের অনেক ভয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ভয়। যে কারণে দেশনেত্রীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বেগম জিয়া পায়ে হেঁটে কারাগারে গেছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এর জবাব সরকারকে দিতে হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সরকার পতনের ডাক দিয়ে এ সময় তিনি বলেন, ‘একটা একটা রক্ত বিন্দুর হিসেব আমরা নিবো। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা সবাই জেগে উঠেছেন। যতদূর দেখি ততদূরই বিএনপি নেতাকর্মী। তারা পুলিশকে ভয় পায় না, তারা প্রশাসনকে ভয় পায় না। গতকালকে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করেছে। কিন্তু তারা আমাদেরকে কোনোভাবেই দমাতে পারে নাই।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় আছেন। এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি দেখে যান। আমার কোটি কোটি ভাইয়ের সমর্থণ দেখে যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া তো সেই মাটি যেখানে মোরগও লড়াই করে বেঁচে থাকে। এখানে ১৯৫২ সালে অলি আহাদ ভাষার জন্য ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ছিলো। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে ১৪৪ ধারা কাজ করে না। ১৪৪ ধারা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে আটকাই রাখতে পারবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা আশেপাশে মিত্র শক্তি ঘুরে রাখেন তারা মনে করেন মানুষের ভোটের দরকার নাই। আমেরিকা স্যাঙ্কশন দিয়ে রেখেছে। তাদের পেটুয়া বাহিনীর উপর স্যাঙ্কশন দিয়ে রেখেছে। তারা ভেবেছিলো যে টাকাগুলো চুরি করেছে সেগুলো দিয়ে কানাডায় বেগম পাড়া বানাবে। আমেরিকা যাবে, মালয়েশিয়া যাবে। সেই সুযোগ আর নাই। যে স্যাঙ্কশন এসেছে এই দেশেই তাদের বিচার হবে।।
পুলিশের বাধা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ভৈরব ব্রিজে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। আশুগঞ্জে আবার বাধা দেওয়া হয়। প্রেসের সাথে কথা বলার জন্য আশুগঞ্জের একটি হোটেলে যেতে দেওয়া হয়।