ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে জোহরা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত্যুর খবর শুনে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী আলামীন মিয়া।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে ময়নাতদন্তের পর নিহতের বাবা জায়েদ মিয়ার কাছে লাশটি হস্তান্তর করেন পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জোহরা বেগম উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের জায়েদ মিয়ার মেয়ে।
হাসপাতাল ও পুলিশ জানান, গত দশ বছর আগে একই উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মৃত শহিদ মিয়ার ছেলে আলামীনের সঙ্গে হরষপুর গ্রামের জাহের মিয়ার মেয়ে জোহরার ৩লক্ষ টাকার কাবিননামায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গতকাল দুপুরে ছোট একটি বিষয় নিয়ে আবার আলামীনের সঙ্গে স্ত্রী জোহরার ঝগড়া হয়। ওইদিন বিকেলে জোহরা অভিমান করে নিজ ঘরে বিষপান করেন। পরে আলামীন তার স্ত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ওইখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জোহরাকে মৃত ঘোষণা করেন। জোহরার মৃত্যুর কথা শুনে লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখেই আলামীনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এদিকে নিহতের বাবা জাহের মিয়া বলেন, তার মেয়ে জোহরাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল আলামীন তার মেয়েকে পিটিয়ে গুরুত্ব ভাবে আহত করেন। পরে তার মেয়েকে আলামীন সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জোহরা মারা যাওয়ার কথা শুনে আলামীন তার মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান। এর আগেও অনেকবার আলামীন ও তার বড়ভাই রশিদ মিয়া সামান্য বিষয় নিয়ে তার মেয়ে জোহরাকে মারধোর করতেন। তিনি তার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচারের দাবি করেন।
এব্যাপারে বিজয়নগর থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মির্জা হাসান জানান, হাসপাতাল সূত্রে জেনেছি জোহরা নামের এক গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আজকে ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এব্যাপারে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি হয়েছে। যার নং- ৪৭৬। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।