ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
৫ম ধাপে বুধবার (০৫ জানুয়ারী) অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাতটি বিদ্রোহী ও ৪ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ১৪ মামলায় কারাগারে থাকা মনিরুল ইসলাম নামে ইসলামী ঐক্যজোটের এক নেতাও চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলা ইসলামী ঐক্যাজোটের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
কারাগারে বসেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন মনিরুল ইসলাম। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার প্রতিক ছিল আনারস। তিনি ৩৯৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম পেয়েছেন ২৪৭২ ভোট।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত বছরের ২৬- ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের মামলার আসামি মনিরুল।
হেফাজত তাণ্ডবের পৃথক ১৪টি মামলার আসামি হয়ে গত বছরের ২২ জুন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ইতোমধ্যে ১৩টি মামলায় জামিন হয়েছে মনিরুলের। তবে একটি মামলায় এখনও তার জামিন না হওয়ায় কারামুক্ত হতে পারেননি। এর ফলে কারাগারে বসেই ভোটে লড়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের এ নেতা। তার পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান জানান, পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ইসলামী ঐক্যজোট এবং ছাত্র খেলাফতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মনিরুলের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়। সেজন্যই কারাগারে থেকেও নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।