ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আব্দুর রশিদ ভূইয়া নামের এক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠে।
সোমবার (০৩ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মোজাহিদুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সুহিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ ভূইয়া প্রতারণার মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নামে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি খাসজমি একসনা বন্দোবস্ত আনেন। যা স্থানীয় সুহিলপুর বাজারে পেরিফেরী প্লট নং (খ-৮) দাগ নং-৬৫২১, খতিয়ান নং-০১ দোকান ভিটি। সেই দোকানটি আব্দুর রশিদ ভূইয়া আমার বাবা সামসুল ইসলাম (মুসলিম) এর কাছে বিক্রয় করার আলোচনা করেন। বিক্রয়ের আগে আব্দুর রশিদ ভূইয়া আমার সম্মুখে আমার বাবাকে জানায়, এই দোকানটি ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত করা এবং এই দোকান কখনো ভাঙা পড়বেনা। যদি এই দোকান কখনো সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ভাঙা পরে তাহলে সমস্ত টাকা ফেরত দিবেন। এই কথায় দুইপক্ষের মধ্যে পাকাপোক্ত হলে, আব্দুর রশিদ ভূইয়া আমার পিতার কাছ থেকে সাক্ষিগণের সামনে নগদ ১৪ লাখ টাকা নেন। টাকা নেওয়ার পর কাগজ সম্পাদনের সময় আমার বাবা দেখতে পান দোকানের জায়গার দলিল রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নামে। ওই সাক্ষরে আব্দুর রশিদ ভূইয়া আমার পিতাকে দোকানের দলিল সম্পাদন করে এনে দেন। কিছুদিন পর আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেনের সড়কের কাজ শুরু হলে আমার পিতার ক্রয় করা দোকানটি ভাঙা পড়ে এবং এই বিষয়ে আব্দুর রশিদ ভূইয়া জানতেন। এই বিষয়ে আব্দুর রশিদ ভূইয়াকে আমার পিতা অবগত করলে তিনি বলেন তার কোন কিছু করার নাই। একপর্যায়ে আমার পিতা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করলে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত ঘোষণা করেন। আমার বাবা জীবনের সব সঞ্চয়ের টাকা থেকে এই দোকান ক্রয় করেছিলেন, এই দোকানের শোকে তিনি মারা গেছেন। এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন।
বিষয়ে আব্দুর রশিদ ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমি অবগত নয়।
তবে জায়গার মালিক বানানো রফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রশিদ ভূইয়া আমার কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড ও সাক্ষর নিয়েছেন। এই দোকানের বিষয়ে আমি অবগত না।