ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ারা গ্রামের পূর্ব পাড়ায় শেখ জসিম ও শেখ বকুলের মধ্যে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি সামাজিক ভাবে মীমাংসা হওয়ার পরও সম্প্রতি ওই জায়গায় একটি ড্রেন নির্মাণ করায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মৃত শেখ সিরাজুল ইসলামের ছেলে শেখ জসিম উদ্দিন তার বাড়িতে দু-তলা ভবন নির্মাণ করেন। পাশাপাশি নিজ বাড়ির চারপাশে বাউন্ডারি দেয়াল দেন। জসিম উদ্দিনের বাউন্ডারি দেয়াল শেখ বকুলের জায়গায় দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে বকুলের স্ত্রী লাকি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় শেখ জসিম (৪০), শেখ রফিক (৪৫), সহ ৫জনকে আসামী করা হয়। মামলাটি বর্তমানে চলমান আছে। এই ঘটনায় জসিমও সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। জসিমের অভিযোগে বিবাদি করা হয়েছে মৃত শেখ জমসেদের ছেলে শেখ জুলহাস (৫০), লাকী আকতার (৩৫)সহ ৭ জনকে। এরই মাঝে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি নিয়ে শালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করেন এবং জায়গায় মাপজোখ করে সীমানা পিলার স্থাপন করেন। এসময় বাসুদেব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ মাহাবুবুল আলম ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষ শালিশে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কাগজে সাক্ষর করেন।
বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিমাংসা করার পরও সম্প্রতি শেখ বকুলের পরিবারের সদস্যরা শেখ জসিমকে নানান ভাবে হুমকি দমকি দিয়ে আসছেন।
এরই মাঝে শেখ জসিমের বাড়ির বাউন্ডারির দেয়াল ভেঙে অবৈধ ভাবে ড্রেন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে শেখ বকুলের পরিবারের বিরুদ্ধে। শেখ জুলহাস ও তার ছোটভাইয়ের বউ এর ছেলে শেখ সাইফুল জোরপূর্বক ভাবে ড্রেইনের কাজ করেন। পরবর্তীতে বাঁধা দিলে শেখ জসিম ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে বাসুদেব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ মাহাবুবুল আলম জানান, দুই পরিবারই আমার আত্মীয়। তাদের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। তারপরও বকুলের পরিবার অবৈধভাবে ড্রেন নির্মাণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মতি মিয়া জানান, আমরা সবাই জানি শালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি মিমাংসা করেছে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু এখন আবার শুনছি বকুলের পরিবার ঝামেলা করছে।
হামলার শিকার শেখ জসিম উদ্দিন জানান, আমার বাড়ির বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। আমিন দিয়ে সঠিক সীমানা পিলার স্থাপন করার পর তারা তা তুলে ফেলেছেন। আমি তাদের অত্যাচারের থেকে নিস্তার চাই।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। খোঁজ নিয়ে জানানো হবে। অভিযোগ আসলে অবশ্যই আইনী সহযোগিতা দেয়া হবে।