Saturday , 23 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের উৎসব পালন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের উৎসব পালন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশে বড়দিন আর ইংরেজি নববর্ষের উৎসব পালন নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়াতে থাকায় সীমিত পরিসরে আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন আর ৩১ ডিসেম্বর রাতকে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ হিসেবে উদযাপন করা হয়। উৎসবের আয়োজন সীমিত করার নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। এ অবস্থায় অন্যান্য বছরের মতো ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরের ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ অনুষ্ঠান অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন নিশ্চিত করাসহ নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, প্রতি বছর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘শুভ বড়দিন’ ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়। সেইসঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষেও বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত আকারে উদযাপন করা হচ্ছে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply