অনলাইন ডেস্ক: প্রয়োজন ছাড়াই তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারন মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাজারে তেলের মুল্যবৃদ্ধির ঠুনকো অজুহাতে দেশে জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হলেও, বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য যখন সর্বনিম্ন তখন সরকার কেন দেশে তেলের মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বলে দেশবাসী জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কয়েক দফায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অস্থির হয়ে ওঠে দেশের প্রতিটি খাত। দ্রব্যমূল্য নিয়ে দিশেহারা মানুষ। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠে পরিবহন সেক্টর। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। টানা সাত সপ্তাহ ধরে তেলের দাম নিম্নমুখী। রেকর্ড বলছে, গত ১০ বছরের মধ্যে জ্বালানি তেলের বাজারে এমন দরপতন ঘটেনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো পদক্ষেপ দেশবাসী লক্ষ করছে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার কোনো যুক্তির ধার ধারে না। সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে লুটপাট করা। সাধারণ মানুষের পকেট কেটে মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা। দেশের অধিকাংশ মানুষকে শোষণ করে লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করতে সরকার নানা যুক্তি উপস্থাপন করছে। জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি অসার, তা প্রমাণ হয়েছে। কারণ এখনো দাম কমানো হয়নি। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে সরকার তেলের মূল্যবৃদ্ধি করলেও এখন তো মূল্য কম। এখন মূল্য কমাচ্ছে না কেন? তার মানে সরকার জনগনের স্বার্থকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তারা বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে বারবার জনগণের কাছ থেকে অর্থ লোপাট করছে। বার বার এ ধরনের মুল্যবৃদ্ধি এক ধরনের লুণ্ঠন। এই লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে জনগনকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকার যা করছে, তা সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন। সরকার জ্বালানি তেলের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে অর্থ লুণ্ঠন করছে বছরের পর বছর।
নেতৃদ্বয় বলেন, এর আগেও তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে খুবই কম ছিলো তখনো তেলের দাম কমানো হয়নি। বলা হয় জ্বালানি তেলের চোরাচালান রোধে তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়, আসলে কখনোই জ্বালানি তেল চোরাচালান করা সম্ভব নয়। ট্যাংকার বা পাইপ লাইনের ছাড়া তেল পাচার করা অসম্ভব। কোনও দেশেই জ্বালানি তেল চোরাচালান করা সম্ভব নয়।