ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
‘আসুন শান্তি স্পর্শ করি, মানবিক মানুষের সমাজ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্লাড ফাইটার্সের ১ম-প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষ্যে রোববার জেলা শহরের অবকাশ পার্কের মাঠে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের চেয়ারম্যান ও জেলার অন্যতম সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বাতিঘরের সভাপতি রাকিবুল ইসলামের পরিচালনায় কেক কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্লাড ফাইটার্স প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া ব্লাড ফাইর্টাস ও
মানবকল্যান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুর রহমান আলভী।
আমন্ত্রিত স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রক্তদানের অপেক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি হাসান মিয়া, একতা ব্লাড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শেখ সাদী, মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশন সভাপতি মোহাম্মদ মোহাইমিলুন হক, এর্নি ফর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও নারী উদ্দোক্তা কাব্য আখতার এনি, বিডি ক্লিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলার সমন্বয়ক সোহান মাহমুদ, আমরাই আগামীর চোখের সভাপতি নাছির উদ্দিন সরকার, তারুণ্য ঐক্য পরিষদের
প্রতিষ্ঠাতা মো. নাঈম ইবনাত ও মানব সেবায় রক্তদান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আহমেদ তারেক প্রমূহসহ অন্যান্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সক্রিয় সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনের বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা দায়িত্বের সাথে মানবসেবার কাজ গুলো করে যাচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবীরা নানান কারনে অসাধু মানুষ দ্বারা অবহেলা ও লাঞ্চিত হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোন অপশক্তিকে মুকাবিলা করা সম্ভব। নিজেদের মধ্যে রাগ-অভিমান না রেখে হাতে-হাত রেখে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। ব্রাক্ষণবাড়িয়া ব্লাড ফাইর্টাস ও মানবকল্যান ফাউন্ডেশনের সফলতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতখানির বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের কারনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে। তেমন স্বেচ্ছাসেবীরা দেশের যুদ্ধা। তারা সমাজের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পৃথিবীর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
পরিশেষে সকল স্বেচ্ছাসেবীদের সফলতা ও সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়। কেক কাটা শেষে অসহায় ও হতদরিদ্র শিশুদের মাঝে শীতকালীন কম্বল বিতরণ করা হয়।