উখিয়া, কক্সবাজার, প্রতিনিধি:
৭ম দফায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা হয়েছে ১৬৮ পরিবারের ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা। সর্বশেষ বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৪২ পরিবারের ১২২ রোহিঙ্গাকে নিয়ে চারটি বাস ছেড়ে যায়।এর আগে, বেলা সোয়া ১১ টার দিকে সাত বাসে ১২৬ পরিবারের ২৫৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল থেকে তাদেরকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়। উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে বাসে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে তাদের। সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে নেওয়া হবে।
গত ১ ও ২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় (দুই অংশে) চার হাজার ৩৭২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়। এবার এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সম্পৃক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরসি) কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। কক্সবাজার-৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, উখিয়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে তালিকা অনুযায়ী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে নেওয়া হবে। গত ১ ও ২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় (দুই অংশে) চার হাজার ৩৭২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়। এবার এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গতঃ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার তিন হাজার ২৪২, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ এবং ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেও সেখানে নিয়ে রাখা হয়।