জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শহরের ভাদুঘর এলাকায় ৪ বছরের কন্যা-শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাধন (১৫) নামের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাদুঘর ফাঁটাপুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বখাটে বাধন ভাদুঘর এলাকার আয়াত আলীর ভাড়া বাড়ির সেলিম মিয়ার ছেলে।
শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার শিশুটি অন্য শিশুদের সাথে খেলা করতে বের হয়। এ সময় অভিযুক্ত বাধন শিশুটির মুখ চেপে ধরে মাহমুদুল হুদা স্কুলের পুর্বপাশের ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে বাদন। শিশুটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এক পর্যায়ে শিশুটির বড় ভাই তাকে খুঁজতে বের হলে চিৎকার শুনে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে সন্ধ্যার দিকে তার শিশুটিকে উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে নিয়ে ভর্তি করেন। তিনি ঘাতক বাদনের সঠিক বিচার দাবী করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, ৪ বছরের একটি কন্যা-শিশুকে ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গাইনী চিকিৎসকরা পরিক্ষায়-নিরিক্ষার পর বুঝা যাবে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা!
এ বিষয়ে সদর মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ভাদুঘর ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ঘাতক বাধনকে আটক করেছি। ছেলেটি এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।