Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
করোনা চিকিৎসায় মলনুপিরাভির মুখে খাওয়ার ওষুধ দেশের বাজারে

করোনা চিকিৎসায় মলনুপিরাভির মুখে খাওয়ার ওষুধ দেশের বাজারে

সকালবেলা ডেস্ক: দেশের বাজারে এসেছে কভিড চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির। এসকেএফ ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধটি গতকাল মঙ্গলবার বাজারে এনেছে। এসকেএফের ওষুধটির নাম মনুভির-২০০। আর বেক্সিমকো ওষুধটি এনেছে ইমোরিভির-২০০ নামে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ওষুধও দু-তিন দিনের মধ্যে বাজারে আসছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গতকাল জানিয়েছে, করোনা চিকিৎসায় তিনটি কম্পানিকে এই ওষুধ জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আরো সাতটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মলনুপিরাভির করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধ।

এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস গতকাল বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ওষুধটি বাজারজাত করার তথ্য জানায়। রাজধানীর বনানীতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিমিন রহমান। এ সময় কয়েকজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও এসকেএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এত দিন করোনার চিকিৎসায় টিকা ছাড়া কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ ছিল না। গত ৪ নভেম্বর মলনুপিরাভির নামের নতুন ওষুধের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এ ছাড়া ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ (এফডিএ) বিশ্বের অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থায় মলনুপিরাভিরের অনুমোদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মার্ক, শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের যৌথ গবেষণায় ওষুধটি তৈরি হয়। এটি ক্যাপসুল আকারে মুখে খেতে হয়। ওষুধটি ব্যবহারে করোনা আক্রান্ত হলেও খুব কমসংখ্যক রোগীর হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে বলে গবেষণায় জানা গেছে। ওষুধটির ওপর পরীক্ষা হয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ১৭টি দেশে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কভিড চিকিৎসায় জরুরি ব্যবহারের জন্য অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভিরকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান এই ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাত করার আবেদন করেছিল। বেক্সিমকো, স্কয়ার ও এসকেএফকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি সাতটি প্রতিষ্ঠানও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম ধরা হয়েছে ৫০ টাকা।

মাহবুবুর রহমান জানান, এই ওষুধের খুব জটিল কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মাথা ব্যথা, বমি ও মাথা ঝিমঝিম করার মতো হালকা থেকে মাঝারি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও সেসব জটিল কিছু নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে এই ওষুধ ১৮ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘করোনা মহামারির শুরুতে বিশ্বের প্রথম জেনেরিক রেমডেসিভির বাজারজাত করার পাশাপাশি কভিড-১৯ চিকিৎসায় বিশ্বের প্রথম মুখে সেবনযোগ্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণ বাজারজাত করা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এটি কভিড-১৯ চিকিৎসায় বেক্সিমকো ফার্মার দ্রুত সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করে।’

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply