অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দীর্ঘ দেড় বছর পর আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, সমাজ কল্যাণ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটে ক্লাস শুরু হয়েছে। এতদিন অনলাইনে ক্লাস চললেও এখন থেকে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার এবং ৫ অক্টোবর হল খুলে দেওয়া হয়। এরপর ১০ অক্টোবর সব বর্ষের জন্য হল খুলে দেওয়া হয়। কভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে ও মানসম্মত পরিচালনা পদ্ধতি সামনে রেখে ক্লাস পরিচালিত হবে।
গত বৃহস্পতিবারের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ও অফলাইন সমন্বয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬০ ভাগ ক্লাস নিতে হবে। ল্যাবরেটরি রক্ষণাবেক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় কোর্সের গুণগতমান বজায় রাখার লক্ষ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এক্ষেত্রেও একাধিক সেকশন বা গ্রুপ করে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী। তারা বলছেন দীর্ঘ ১৮ মাস পর হলেও ক্লাসে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। সেশনজট রোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. বাহাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পেয়ে শিক্ষকদের মনেও আনন্দ ফিরছে। তাই আমরা প্রথমদিনেই তাদের জন্য ক্লাস রেখেছি। যেসব ঘাটতি হয়ে গেছে, সেটা আমরা পুষিয়ে নিতে পারব।