বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লামিয়া (১৮ ) ও ফারুক (২০) নামের প্রেমিক যুগলকে আটক করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। শনিবার (১৬অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে, ফারুক ও লামিয়া প্রেমিক যুগল বরগুনার চালিতাতলীতে ঘুরতে যায়। গাড়ীতে প্রেমিকা লামিয়া (১৮) হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তখন ফারুক (২০) প্রেমিকা লামিয়াকে চিকিৎসা দিতে স্ত্রীর পরিচয়ে জেলা সদর হাসপালে ভর্তি করে। ওষুধ পত্র ,খাবার-দাবার কিনে তাকে নিজ স্ত্রীর আদলে সেবা যতœ করছি প্রেমিক ফারুক। ঠিক তখনি প্রেমিকা লামিয়ার বাবা এসে মেয়ের প্রেমিক ফারুককে দু-চারটা চর-থাপ্পর মারে। এখানেই বিপত্তিটা বাজে।
এই দৃশ্য দেখতে হাসপাতালের ২য় তলায় অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনেরা প্রায় ৩ শতাধিক লোক ভীড় করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে সদর হাসপাতাল থেকে ওই প্রেমিক যুগলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা কয়েকজন প্রতিবেদকে জানান, ওই মেয়েটি (প্রেমিকা লামিয়া) অসুস্থ্য ছিল। ছেলেটি (প্রেমিক ফারুক) তাকে স্ত্রীর পরিচয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে সেবা যতœ করছিল। কিন্তু মেয়েটির বাবা খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে মেয়েকে জিজ্ঞেস করে ছেলেটিকে। মেয়েটি বাবার ভয়ে প্রেমিক ফারুককে চেনেনা এমনটি জানায়। তখন মেয়েটি বাবা ছেলেটিকে মারধর শুরু করে। পড়ে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ফারুক সদর উপজেলার ৮ নং বরগুনা সদর ইউনিয়নের উত্তর হেউলিবুনিয়া গ্রামের আ.সোবাহান মোল্লার ছেলে ও লামিয়া একই এলাকার জাহাঙ্গীর এর মেয়ে।
ফারুক প্রতিবেদকে জানান, সে অনার্স তৃতীয় বর্ষে ছাত্র ও লামিয়া একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। দীর্ঘ ৫ বছর লামিয়ার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। তার দু-জনে সকালে কলেজের কথা বলে চালিতাতলী এলাকায় ঘুরতে যায়। পথি মধ্যে গাড়ীতে হঠাৎ লামিয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ১১টার দিকে আমি (লামিয়াকে ) স্ত্রীর পরিচয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। পড়ে তার বাবা এসে আমাকে মারধর শুরু করে।
এ ব্যাপারে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম তরিকুল ইসলাম প্রতিবেদকে জানান, ছেলে-মেয়ে উভয় পক্ষ পারিবারিক ভাবে সম্যসা সমাধান করেছে।