নিজস্ব প্রতিবেদক,উখিয়া,কক্সবাজারঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বেতবনিয়ায় ভাড়া নেওয়া জোত জায়গার মাথাকিলা গোপনে বিক্রির পাঁয়তারা চালাচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছে দুই দখলদস্যুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে,বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আবদুল করিম(৬৪) জানান,তার পিতা মৃত আবদুল আলী ১৯৮৯-৯০ সালে ৪ একর জায়গা বন্দোবস্তি পেতে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।যার ২৬৭ নং ঘুমধুম মৌজায় স্থীত জমির খতিয়ান নং-৭৪ আন্দরে ৯০ কড়া ১ম শ্রেণীর খতিয়ানভুক্ত সহ প্রায় ৪ একর জমি রয়েছে।তাতে মৃত আবদুল আলীর ৪ ছেলের মধ্যে বর্তমানে ৩ ছেলে ও নাতনী মিলে ৮ টি বসতবাড়ি-ভিটি দখল আমলে রয়েছে।উক্ত জায়গার মাথাকিলার একটি অংশ মৃত আনছুর আলীর ছেলে মোঃআলম৩৮)সম্প্রতি সময়ে মুরগীর ফার্ম করার জন্য মাসিক ভাড়ায় গ্রহণ করে।প্রতি মাসে ১৫ শতক জায়গার ভাড়া নির্ধারণ করে ৭০০ টাকা।গত ৯ মাস পূর্বে ভাড়ায় নেওয়া জায়গার ৪ মাস ভাড়া আদায় করে অভিযুক্ত মোঃআলম।
এরিমধ্য জানা যায়,মোঃ আলম গোপনে উক্ত জায়গা ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কবির আহমদের ছেলে নুরুল আমিন কে গোপনে বিক্রি করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টায় আবদুল করিম মোঃআলমের নিকট জায়গা বিক্রির বিষয় জানতে চাইলে উল্টো আবদুল করিম(৬৪),তার ছেলে নুরুল আবছার(২৩) ও কন্যা নুর নাহার(৩৩) কে শারিরীক নাজেহাল করে।ওইদিনগত রাতের আধারে অনুমান ৮০ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে পাহাড়ি জায়গার মাটি কেটে,অনুমান ২ শতটি আকাশমনি,আম,জাম সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করে নিয়ে যায়।বিবাদীরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে কাজ করতে থাকায় বাধা দিলে আবদুল করিম ও তার ছেলে-মেয়ে তিন জনকে জানে মারার উদ্দেশ্যে লোহার রড,শাবল নিয়ে ধাওয়া করে।বেতবনিয়া বাজারের দিকে পালিয়ে প্রানে রক্ষা পান আবদুল করিম ও তার ছেলে-মেয়ে।বিবাদীরা ভুক্তভোগীদের তাড়িয়ে বর্তমানে ইটের স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিবাদীদের অব্যাহত হুমকিতে আবদুল করিমের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন,তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও,সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে আবদুল করিম গত ১০ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।যা ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এসআই মোঃআল আমিনের নিকট তদন্তাধীন আছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,তদন্তাধীন রয়েছে।কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা যাবে বিস্তারিত।