উখিয়া,কক্সবাজার, প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী পানবাজারে “আল রুহি ডিজিটাল ফিটনেস জিম” নামক একটি আধুনিক ব্যায়ামাগারের প্রাথমিক প্রস্তুতি যাত্রা শুরু করেছে।যেটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলেই মাঠের অভাবে বিগত ৪ বছর ধরে খেলাধুলার বাইরে থাকা বালুখালীর ক্রীড়াপ্রেমী যুবক-ছাত্ররা অন্তত খেলাধূলার বিকল্প প্রান ফিরে পাবে।বালুখালীর ক্রীড়াপ্রেমী কয়েকজন উদ্যোমী যুবক মিলে জিম সেন্টার টি নানা প্রতিকুলতার মাঝেও আর্থিক ধারদেনা করে গড়ে তুলছেন বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার জুমার নামায পরবর্তী প্রাথমিক প্রস্তুতি যাত্রা শুরু করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরোদমে শুরু করতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে,এমনটাই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন উদ্যোমী যুবক আলাউদ্দিন।তার নেতৃত্বে রয়েছেন আরো কয়েক যুবক।যারা খেলাধুলা পাগল।আধুনিক ব্যায়ামাগার মেশিন চালনায় রয়েছেন,ঢাকার একজন দক্ষ টেকনিশিয়ান।
বালুখালী পানবাজারে প্রধান সড়কের পূর্বপাশে আবদুস সালাম মার্কেটের ২য় তলায় এ জিম সেন্টারের অবস্থান। তাতে ডিজিটাল ব্যায়ামাগার মেশিনারী যন্ত্রাংশ ছাড়াও পর্যটনপ্রেমী দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে ডিটিজাল পার্ক,যেখানে জলীয় সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ,ফুল,দূর্লভ গাছ রয়েছে।পাশাপাশি ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য রয়েছে আল রুহি ডিজিটাল স্পোর্টস স্টোর।যাতে সকল প্রকার খেলার সরন্জাম ও বস্ত্রাদি।ব্যয়ামাগারটির প্রাথমিক প্রস্তুতি যাত্রায় খুলে দেওয়া হলে শত-শত ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের উপচেপড়া ভীড় জমে।
শনিবার(৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,যুবকদের পাশাপাশি, মাঝ বয়সী বুড়ো এবং শিশুরাও ব্যায়ামে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.ইব্রাহীম আজাদ বলেন,রোহিঙ্গার কারণে আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। জানমালের নিরাপত্তায়ও শংকিত।যেহেতো রোহিঙ্গারা সংঘবদ্ধ।তার মাঝে বালুখালীর একমাত্র খেলার মাঠটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে রোহিঙ্গা সেবাই নিয়োজিত এনজিওর দখলে।
ফলে খেলাধুলা থেকে এলাকার ছাত্র- যুব সমাজ বঞ্চিত। বিনোদনের কোন কিছুই নেই।এজন্য অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে।মাদক থেকে বিরত রাখতেই “আল রুহি ডিজিটাল ফিটনেস জিম” সেন্টার বিকল্প খেলাধুলা হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।আমি নিজেও একজন ব্যায়ামাগার।
ব্যায়ামে ব্যস্তদের মধ্য থেকে অনুভূতি জানতে চাইলে বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চারবারের অভিভাবক সদস্য, সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আকবর আহমদ বলেন,২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর, বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি রোহিঙ্গা সেবার দখলে চলে যায়।গত প্রায় ৪ বছর ধরে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত বালুখালীর মানুষ।এখানে একটি জিম সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে অন্তত খেলাধুলার প্রান ফিরাতে কয়েকজন যুবক চেষ্ঠা চালাচ্ছে,আমি তাদের সাধুবাদ জানাই।
একই কথা জানালেন, বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির আরেক সদস্য ও উখিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রভাবশালী সদস্য আবু তাহের আজাদ।
এদিকে গত শুক্রবার “আল রুহি ডিজিটাল ফিটনেস জিম “সেন্টারের প্রাথমিক যাত্রার দিন সর্ব সাধারণের জন্য
উম্মুক্ত ছিল ব্যায়ামাগারটি।এক নজর দেখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি কিছু রোহিঙ্গা শিশুও চলে আসে।তাদের কয়েকজন আল রুহি স্পোর্টস স্টোর থেকে এক রংয়ের সাদা গেঞ্জি পড়ে ছবি উঠাই এবং সেলফি তুলে।আসলে রোহিঙ্গারা জিম সেন্টারের সদস্য বা কিছুই না।তাদের ছবিগুলো স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাথে সেলফি বন্দী হয়।এসব ছবি ফেসবুক অনেকেই ছাড়ে।ওইসব ছবি গুলো দিয়ে এলাকা থেকে আত্নগোপনে থাকা একটি দূস্কৃতকারী চক্র উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভার্বমূতি ক্ষুন্ন করতেই নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।উক্ত সংবাদে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে,তাহা ডাহা মিথ্যা-বানোয়াট,কাল্পনিক এবং উদ্দ্যেশ্যেমুলক।প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলাউদ্দিন আজাদ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সহ সংশ্লিষ্ট কাউকেই বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে উক্ত ব্যায়ামাগার পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।