তুমি রবে নিরবে…..
আজ ৭ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখ- জাতীয় দৈনিক সকালবেলা এবং The Daily Morning Times এর এই দুইটি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর মাস শোকাবহ অক্টোবরের সপ্তম দিন। গত ২৭ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখ তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ তাঁর মৃত্যুর এক বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। দৈনিক সকালবেলা পত্রিকা ছিল তাঁর প্রাণ। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সংবাদপত্রের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, আজাদ, জনকন্ঠ, অবজারভারসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি সব সময় নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করতেন এবং বই পড়তেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনো পূরণ হবার নয়। দৈনিক সকালবেলা পত্রিকটি ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান এবং সন্তান সমতুল্য। তিনি সবসময় বলতেন, দৈনিক সকালবেলা একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সকল সাংবাদিক ও কর্মকর্তা -কর্মচারী এবং বিজ্ঞাপন প্রতিনিধিদের সহযোগিতা প্রয়োজন। যার যা দায়িত্ব আছে সবাই সঠিকভাবে পালন করবেন। সবাই দায়িত্ব পালন করলে পত্রিকাটি সঠিকভাবে চলবে। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন, সাদা মনের অধিকারী। সদাহাস্যোজ্জল, সদালাপী, মিষ্টভাষী, মিশুক ব্যক্তিত্বসমপন্ন একজন মানুষ। তিনি কখনোই কারো সাথে খারাপ আচরণ করতেন না। প্রতিশোধমূলক আচরণকে তিনি মনে প্রাণে ঘৃনা করতেন। যারা তার উপর অন্যায় করত, তাদের সাথেও তিনি কখনো প্রতিহিংসা পরায়ণ হতেন না। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর সমস্ত স্মৃতি সকালবেলা’র মনিকোঠায় রয়েছে। তাঁর জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা এই দুটো নিয়েই তাঁর ছিল অনেক স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে তিনি বাস্তবে রুপ দিয়েছেন ১৯৯৭ সালে “সাপ্তাহিক সকালবেলা” পত্রিকাটিকে ২০০১ সালে “দৈনিক সকালবেলা” নামে রুপান্তর করেন। ২০১৭ সালে অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ণ করেন। জাতীয় দৈনিক সকালবেলা’কে তিনি ২৪টি বছর লালন করেছেন। আজ তিনি চলে গেলেন বহু দুরে। একএক করে সবাইকে চলে যেতে হবে একদিন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান যতদিন থাকবে, ততদিন সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হকের রেখে যাওয়া কর্মকান্ড, স্মৃতি, আদর্শ, সততা, নিষ্ঠা, আর্ন্তরিকতার সাথে দৈনিক সকালবেলার মাঝে বেঁচে থাকবে। তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি- চলবে।