জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, রোগীর এটেনডেন্টের ভুল ফোন কলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ২৫০শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আসায় অনেকের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় আতংকিত হয়ে হাসপাতালের বেশ কিছু রোগী ও তাদের স্বজনরা দৌড়ে হাসপাতালের বাইরে চলে আসে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের নাম্বারে এক যুবক কল দিয়ে জানান, হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ১৫ সদস্যের একটি টিম নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দ্রুত চলে আসে। তারা দ্রুত হাসপাতালের ২য় ও তয় তলায় যান। সেখানে গিয়ে কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তথ্য পাননি। সেখান থেকে তারা হাসপাতালের ৪তলা সহ পুরো হাসপাতাল খুঁজেও অগ্নিকাণ্ডের কিছুই পাননি। এই ঘটনায় হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনেরা আতংকিত হয়ে পড়েন। এরমধ্যে অনেকেই দৌড়ে হাসপাতাল ভবনের বাইরে চলে আসে। এছাড়াও উৎসুক জনতা হাসপাতাল চত্তরে ভিড় জমান।
অতঃপর, কল দেওয়া সেই যুবকের নাম্বারে কল দিলে ওই যুবক জানান, তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে আছেন এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খোঁজ করছেন। সেই যুবকের নাম টিপু। সে তার অসুস্থ রোগী নিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে আছেন।
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম জানান, এক যুবকের ফোন কলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের খবরে সদর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ ও টিম লিডার আব্দুর কাদিরসহ ১৫ সদস্যের একটি টিম পাঠানো হয়ছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পাইনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ জানান, সদর হাসপাতালে গিয়ে কোন ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখেনি। পরে সেই যুবককে কল দিলে তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে আছেন বলে জানান। ওই যুবক সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে ফোন কলে অগ্নিকাণ্ডের কথা বললে দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য আমরা সদর হাসপাতালে যায়।