জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে স্বামী বিরুদ্ধে রিমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ইছাপুরা গ্রামে স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার দাবি করেন, সোমবার বিকেলে রিমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করার মিথ্যা কথা রটিয়েছে তার স্বামী জুনাইদ মিয়া।
রিমা উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের এলাকার আব্দুল বাছিরের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে জুনাইদ মিয়ার সাথে রিমার যথাযথ মর্যাদায় পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি সন্তান জন্ম নেয়। তবে জুনাইদ রাতে দেরিতে ঘরে ফেরার বিষয় নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রী মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। জুনাইদ প্রতিদিন রাত ১২টার দিকে বাসায় আসতো, এসেই রিমাকে প্রতিনিয়ত মারধোর করতো। রিমার কোন কথা শুনতেন না জুনাইদ।
রিমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ভাই মুফতি কেফায়েত উল্লাহ জানান, বিয়ের পর থেকে রিমা সাংসারিক ভাবে সুখি ছিল না৷ তার ছোট বোনের সংসারে একটি ছেলে সন্তান থাকায় নানান কষ্ট সহ্য করেও জুনাইদের সংসার করেন রিমা৷
রোববার রাতে রিমাকে মারধোর করেন জুনাইদ। পরে এসব বিষয় নিয়ে সোমবার সকালে দুু’পক্ষে লোকেরা সালিসি বসেছিল। কিন্তু তারপরও বিকেলে রিমাকে মারধোর করে৷ জুনাইদ। এক পর্যায়ে রিমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ফেলেন জুনাইদ। জুনাইদ রিমাকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করার মিথ্যা কথা রটিয়েছে। তিনি তার বোনের হত্যার সঠিক বিচারের দাবি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাব্বির হোসাইন জানান, রিমা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হয়না। ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে বলে তেমন কোন নমুনা লক্ষ্য করা যায়নি। মৃত্যুটি রহস্যজনক বলেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মুহাম্মদ হাসান জানান, রিমা নামের এক গৃহবধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিমার মৃত্যুটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানতে পারবো।।