বরগুনা প্রতিনিধি:
এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বরগুনায় আপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে জামাল মল্লিক ওরফে চাঁন মিয়া ও জলিল নামের দুই সংবাদকর্মীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরগুনা বিজ্ঞ আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ননকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার আদালত) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. নাহিদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তালতলী থানার ওসিকে আগামী ২৮ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।(২০ সেপ্টম্বর ) সোমবার বরগুনার তালতলী উপজেলার ইমরান হোসেন নামে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানাগেছে, ( ১৮ সেপ্টেম্বর) শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্যবসায়ী ইমরানের দোকানে গিয়ে মৃত্যৃর ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামীরা । দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করিলে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ইমরানকে তারা মারধর করে । এ সময় ব্যবসায়ীর দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং অপরিচিত একটি ট্রাকযোগে ইমরানের দোকান থেকে প্রায় ১০ টন (৪ লক্ষ টাকা মূল্যমানের) ভাঙ্গারি মালামাল জোড়পূর্বক নিয়ে যায় ঐ আসামীরা। আসামীদের মারধরে আহত ব্যবসায়ি ইমরান পরে একটি ফার্মেসীতে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। ১৯ সেপ্টেম্বর ইমরান তালতলী থানায় এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি এমনটি মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামী জামাল খলিফা ওরফে চান মিয়া(২৮) তালতলীর ছোট ভাইজোড়া গ্রামের আতাহার খলিফার ছেলে ও বড় অংকুজান পাড়া খোট্রারচর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে আসামী জলিল। এছাড়াও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে এ চাঁদাবাজী মামলায়। চাঁদাবাজী মামলার ১নং আসামী জামাল খলিফা ওরফে চান মিয়ার (২৮) কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ২ জন সাংবাদিক প্রজেক্টের মালামাল চুরি হয় এমন সংবাদ সংগ্রহ করতে প্রজেক্টের পাশ্ববর্তী এলাকায় গেলে আমাদের মারধর করা হয়। অপরদিকে মামলার বাদী ইমরান হোসেন বলেন, জামাল -জলিল সহ আজ্ঞাত পরিচয়ের ৪/৫ জন মিলে আমার কাছে চাঁদাচায়, এরা মূলত সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী করে । তিনি আরোও জানান, ঘটনার দিন আমাকে মারধর করে এরা আমার টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়। আমি এর সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিচার চাই।