জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লাথিতে আয়েশা বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সরাইলের পানিশ্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আয়েশা বেগম সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামের মৃত গুণি মিয়ার স্ত্রী।
নিহত আয়েশা বেগমের ছেলে শাহ আলম জানান, গত দুই বছর আগের সরাইল থানার পুলিশ বাদীর একটি মারামারির মামলার আজ হাজিরা ছিল। ওই মামলার আসামীরা রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে হাজিরা দিতে আসে। হাজিরা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে শোলাবাড়ির মধ্যবাড়ির মৃত তারু মিয়ার ছেলে ইউনুস মিয়ার সাথে দক্ষিণ বাড়ির মৃত তাহের মিয়ার ছেলে মুর-সাহিদ মারামারিকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আনার কারনে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। ইউনুস ও মুর-সাহিদ তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আয়েশা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে তাদের ঝগড়া থামাতে যায়। এসময় ইউনুস মিয়া ও মন মিয়ারসহ ১০-১২ জন লোক মুর-সাহিদের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে ইউনুস মিয়ার ভাতিজা শাকিল আয়েশার বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন।
তারপর পরিবারের লোকেরা গুরুত্ব আহত অবস্থায় আয়েশা বেগমকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আয়েশাকে নিয়ে আসলে ইসিজি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে আয়েশার বুকে লাথি পড়ছে৷ লাশটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ-ব্যাপারে জানতে চাইলে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল সূত্রে শুনেছি শোলাবাড়ি এলাকায় দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে এক বৃদ্ধা নিহত হয়। এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।