জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সম্পত্তি বন্টনের জের ধরে বোনের সাথে অভিমান করে কেরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে মিন্টু সরকার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মিন্টু সরকারের মৃত্যু হয়।
নিহতের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এঘটনায় কসবা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী আছমা বেগম জানান, কয়েক বছর যাবত পরিবারের সম্পত্তি ভাগ ভাটোয়ারা ও বিক্রির নামে অতিরিক্ত টাকা দাবী করাসহ একটি দুষ্ট চক্রের সাথে হাত-মিলিয়ে মিন্টু সরকারের বড় বোনের ছেলেরা, বড় ভাইয়ের মেয়েসহ জামাই অসদাচরনসহ বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। গত রোববার আবার মিন্টু সরকারের বড়বোন হেনা বেগম ও তার ছেলে সেলিম মিয়া ও তার বড়ভাই মৃত ইকবাল হোসেনের একমাত্র মেয়ে রত্মা আক্তার ও তার স্বামী মোজাম্মেল হক সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়ে রাজশাহী থেকে মামাও চাচার বাড়ি কসবার বিষ্ণুপুরে আসেন। এনিয়ে গত সোমবার দিনব্যাপী ও রাত ১১টা পর্যন্ত গ্রামের সালিশকারকদের উপস্থিতিতে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা অতিরিক্ত সম্পদ ও টাকা দাবী করে মিন্টু সরকারকে মানসিক ভাবে অত্যাচার করায় অপমান সহ্য না করতে পেরে মঙ্গলবার ভোররাত প্রায় আড়াইটার দিকে কেরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে পেলেন। পরে মিন্টুর স্ত্রী আছমা বেগম দেখে আর্তচিতকার শুরু করলে বাড়ির অন্যলোকেরা মিন্টু সরকারকে উদ্ধার করে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমি্ল্লা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মিন্টু সরকারকে মৃত ঘোষনা করেন। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পারিবারিক কলহের কারনে মৃত্যুর অভিযোগে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।