জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের নাছিরপুর এলাকায় স্বামী বিরুদ্ধে ফাহিমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
ফাহিমার তার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী-শ্বশুরসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে৷
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য ফাহিমার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবার দাবি করেন, সোমবার রাতে ফাহিমাকে হত্যার পর ইদুঁর মারার বিষ খেয়ে মারা গেছে বলে মিথ্যা কথা রটিয়েছে তার স্বামী মারুফ মিয়া।
ফাহিমা উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের নোঁয়া হাটি এলাকার রিপন মিয়া মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের নাছিরপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মারুফ মিয়া সাথে ফাহিমার যথাযথ মর্যাদায় পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক মেয়ে ও এক ছেলে জন্মায়। তবে যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
তার মেয়ে ফাহিমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে শাহারাজ বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে ফাহিমা সাংসারিক ভাবে সুখি ছিল না৷ তার মেয়ের সংসারে দুই সন্তান থাকায় নানান কষ্ট সহ্য করেও মারুফের সংসার করেন ফাহিমা৷
সোমবার রাতে ফাহিমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর বাড়ি থেকে মারুফ-শ্বশুর সহ তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা পালিয়ে যায়। পরে আজকে সকালে ফাহিমার লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ নাসিরনগর থানায় নিয়ে যায়। মারুফ গতকাল রাতে ফাহিমাকে হত্যা করে ইদুঁর মারার বিষ খেয়ে মারা গেছে বলে মিথ্যা কথা রটিয়েছে। তিনি তার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচারের দাবি করেন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, আজ ফাহিমা নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফাহিমা ইদুঁর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি। ফাহিমার মৃত্যুটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানতে পারবো।।