অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়তে পারে। তবে এ সময়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না তিনি। বাসায় থেকে তিনি যেভাবে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন সেটা অব্যাহত থাকবে। খালেদা জিয়ার বিষয়ে আপাতত সরকার এই অবস্থানেই থাকার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানান সরকার সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে, তার ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানাবে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যে ধারায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা সরকারের নির্বাহী আদেশ।
তিনি আরো বলেন, এই মুক্তির মেয়াদ সরকার বর্ধিত করতে পারে। খালেদা জিয়া আবেদন করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে সরকার দুইটি শর্তে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছে। এখন শুধু নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বর্ধিতই করা যাবে। কিন্তু তার বিদেশে যাওয়ার বিষয় যদি আসে, তাহলে তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং শর্তে বর্তমানে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেটা বাতিল করতে হবে। তাকে পুনরায় কারাগারে গিয়ে নতুন করে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তখন সরকার কী করবে, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় কিছু করার নেই।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। শর্ত দু’টি হলো তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে তিন দফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।
সবশেষ ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।