অনলাইন ডেস্ক:
করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা যাবতীয় পরিকল্পনার বিষয়ে কাজ করছি। আমরা আশাবাদী, এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করবে। জনগণের জীবনমান উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে। যতই প্রতিকূলতা আসুক এই অগ্রযাত্রাকে থামানো যাবে না।’
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমি ভবন ও ভূমি তথ্য ব্যাংকের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে আমরা এখন অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। মানুষ এখন ঘরে বসে সেবা পাচ্ছে। এটা সম্ভব হচ্ছে ডিজিটালাইজেশনের কারণে।’
বিএনপি ও তাদের জোট শরিকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা সারা দেশে সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে অনেক সরকারি সম্পদ নষ্ট করেছে। তারা অনেকগুলো ভূমি অফিসসহ সরকারি স্থাপনা পুড়িয়ে দিয়েছে। বাসে আগুন দিয়ে অনেক মানুষ হত্যা করেছে।’
এদিকে ভূমির আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পর্চা, খতিয়ান, সার্টিফিকেট বা ম্যাপের মতো ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রামাণ্য দলিলাদি (সার্টিফায়েড ডকুমেন্ট) ভূমিসেবা গ্রহীতা নাগরিকদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
ভূমির মালিক হিসেবে বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশের নাগরিকেরা ভূমি সংক্রান্ত সব আবেদন ও তার ভিত্তিতে ডকুমেন্ট এবং ম্যাপ সংগ্রহ করে থাকেন। এতদিন পর্যন্ত এ ধরনের কাজে ভূমি অফিসগুলোতে একাধিকবার যাওয়ার প্রয়োজন পড়তো নাগরিকদের। ডিজিটাল ভূমি সেবার আওতায় নাগরিকদের জন্য অনলাইন, যেমন—ওয়েব, অ্যাপ বা কল সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি করা গেলেও প্রাপ্য পর্চা, খতিয়ান, সার্টিফিকেট বা ম্যাপ সংগ্রহের জন্য ভূমি অফিসে যাওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। এখন এসব সংগ্রহের জন্য আর ভূমি অফিসে যাওয়া লাগবে না। নন-সার্টিফায়েড ডকুমেন্টগুলো আরও সহজে ও দ্রুততর সময়ে নাগরিকেরা বাড়িতে বসেই ডাকযোগে সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভূমি অফিসগুলো থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে নাগরিকদের ঠিকানায় ডাকযোগে পৌঁছে দেবে ডাক বিভাগ। প্রতিটি ডাকঘরের নিযুক্ত ব্যক্তি প্রতিদিন নিকটস্থ ভূমি অফিস থেকে সার্টিফিকেটগুলো সংগ্রহ করে নাগরিকদের ঠিকানা বরাবর ডাকে পাঠাবেন। এ সেবার জন্য অনলাইনে আবেদনের সময়েই নাগরিকেরা অনুরোধ জানাতে পারবেন এবং খাম, প্রস্তুতি ও ডাকমাশুল বাবদ অতিরিক্ত সেবামূল্য পরিশোধ করবেন।
এদিন ভূমি ভবন, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম এবং ভূমি তথ্য ব্যাংকের উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান। এ সময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।