এম.এ.রহমান সীমান্ত,উখিয়া,কক্সবাজারঃ উখিয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক উপজেলা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক ২ দিন ব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে।
সোমবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রশাসন ও ইন্টিগ্রেটেড ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের সহযোগিতায় এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার স্হানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায়।
এতে সভাপতিত্ব করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায় বলেন নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে প্রচলিত আইন সমূহ বাস্তবায়ন হওয়া চাই । তিনি আরও বলেন কোভিড ১৯ চলাকালীন সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং বাল্যবিবাহের হার ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় এটি খুবই উদ্বেগের বিষয় । নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে এখনই আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন , পৃথিবীতে মানব সৃষ্টির পর থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ছিল, তা এখনও আছে। বৈশ্বিক ভাবে এটির প্রতিরোধে যেমনটি এগিয়ে এসেছে ঠিক বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়ন , শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত সহ নির্যাতন বিরোধী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে নারী-শিশুর সহিংসতা এবং বাল্যবিবাহের হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এটি শূন্য কোটায় আনতে স্ব-স্ব স্টেকহোল্ডারদের কে এগিয়ে আসতে হবে।
উপজেলা পরিষদ হল রুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম , মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুর মোরশেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রাশেল চৌধুরী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাহমুদ ইউছুপ, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার বদরুল আলম , রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আমল চৌধুরী, জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী , হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম , ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী , পাতাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। শুরুতেই কোভিড ১৯ চলাকালীন সময়ে নারী ও শিশু সহিংসতার হার ক্রমাগত বৃদ্ধির গবেষণা মূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এমডি হুমায়ুন।
এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও এনজিও সংস্থার কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।