সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষনে সিরাজগঞ্জে আবারো বাড়তে শুরু করায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সাথে বাড়ছে জেলার অভ্যান্তরিন নদ-নদীর পানিও। ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল ও অভ্যান্তরিন নদী তিরবর্তি এলাকার বসত-বাড়ি, ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে সাতটি উপজেলার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও বেড়েছে যমুনা নদীর পানি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সিরাজগঞ্জ’র শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ জানান, বুধবার (২৫ আগস্ট) ভোর ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢল ও বর্ষনে উজানে পানি বাড়ায় যমুনার সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
যমুনা ও অভ্যান্তরিন চলনবিল, ইছামতি, করতোয়া, ফুলঝোড় ও বড়াল নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নিম্নাঞ্চল, চরাঞ্চল ও অভ্যান্তরিন নদী তিরবতী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার সাতটি উপজেলার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যা প্লাবিত এলাকায় বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়ছে জনসাধারন। অনেকেই বসতবাড়ি রেখে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহন করছে।