অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বরে একটি বাসার নিচতলায় গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ অন্তত সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার (২৫ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার দিকে মিরপুর-১১ নম্বরের সেকশনের সি ব্লকে একটি বাসায় অগ্নিকাণ্ড হয়। এ সময় ৭ জন দগ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ সাতজন হচ্ছে- ওই বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামের মা রওশন আরা বেগম (৭০), ভাই শফিকুল ইসলাম (৩৫) ছোট বোন রিনা বেগম (৫০) বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়া নাজনীন আক্তার (২৫) তার মেয়ে নওশীন (৫) পাশের বাসার ভাড়াটিয়া রেনু বেগম (৩৫) ও পথচারী সাজ্জাদ হোসেন (৩০)।
ওই বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ির নিচতলায় তিতাস গ্যাসের লাইন লিকেজ ছিল, দুই দিন আগে লিকেজ মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু আজ রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে আগুন ধরে যায় নিচতলায়। এতে সাতজন দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন জানান, ওই বাসায় কয়েকদিন গ্যাস ছিল না। রাতে হঠাৎ গ্যাসের চাপ বেড়ে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন গ্যাস রাইজার পরিষ্কার করছিল। হঠাৎ করে সেটা বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে সাত জন দগ্ধ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে আগুন নেভায়।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর থেকে কামরুল আহসান জানান, মিরপুর-১১ এর লাইন ৯, বাড়ি নম্বর-২ এর চারতলা বাড়ির নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের সংবাদে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টা ২০ মিনিটে আগুন লাগলেও ১২টা ২০ মিনিটে তা নেভানো হয়।
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের লাইনের জয়েন্ট খুলে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন দগ্ধ হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, দগ্ধ সবাইকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শিশু নওশীনের ১৫ শতাংশ, শফিকুল ইসলামের ৮৫, সুমন ৪৫, রওশন আরা ৮০, রিনা ৭০ নাসরিন ২৭ ও রেনু ৩৮ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে।