সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি;
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি একটি পয়েন্টে আজও স্থিতিশীল রয়েছে, তবে অভ্যান্তরিন নদ-নদীসহ অপর পয়েন্টে আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর বসত-বাড়িতে পানি ওঠায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে বিপাকে রয়েছেন বানভাসিরা। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে এখনো শুরু হয়নি ত্রান তৎপরতা।
গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকায় বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সিরাজগঞ্জের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ ও ওমর আলী জানান, মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভোর ছয়টা থেকে বুধবার (২৫ আগস্ট) ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার অভ্যান্তরিন নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছেই। আবারো যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।
এদিকে জেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর বসতবাড়িতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়ছে মানুষ। পানিবন্দি এলাকাগুলোর টিউবওয়েল পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এসকল এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে আমন ধানের ক্ষেত, বীজতলা, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকেরা। তবে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে এখনো শুরু হয়নি ত্রান তৎপরতা।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ত্রান মজুদ রয়েছে। অতিদ্রুত ত্রান তৎপরতা শুরু করা হবে।