নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তিসহ জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের পৃথক দুটি মামলায় জেলা বিএনপির চার নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে নওগাঁর ১ নং আমলী আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাজুল ইসলাম নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে প্রেরণকৃত নেতারা হলেন, জেলা বিএনপির সদস্য মোফাখারুল ইসলাম (তারা), জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম গোল্ডেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশের গুলিতে হেফাজত কর্মীদের নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩০ মার্চ
দুপুর ১২টার দিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কেডির মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত কিছু পুলিশ সদস্য তাঁদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
এ ঘটনার দুই-তিন মিনিট পরে বিনপির নেতা-কর্মীরা আবারো জড়ো হয়ে দলীয় কার্যালয়ের পূর্ব দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্তত ২০ মিনিট ধরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ও পুলিশ সদস্যরা আহত হন।
এ ঘটনায় ৩০ মার্চ নওগাঁ সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তিসহ জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক দুই মামলায় ৫৭ জন করে একই ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে।