অনলাইন ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নীলনকশা প্রস্তুতকারী ও নেপথ্য নির্দেশদাতাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিংবা কমিশন গঠন করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই দাবি জানান আমু। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নীলনকশা প্রস্তুতকারী ও নেপথ্য নির্দেশদাতাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিংবা কমিশন গঠন করে বিচারের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হন বঙ্গবন্ধু। আগামী প্রজন্মের কাছে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমির হোসেন আমু জাতির পিতার রাজনৈতিক দর্শন, আজন্ম লালিত স্বপ্ন ও আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় মুখ্য বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এবং জুনিয়র কয়েকজন কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকলেও, মূলত জিয়াউর রহমান এবং মোশতাকের নির্দেশেই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন।