অনলাইন ডেস্ক:
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে রাজনীতি করা হয়, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন অথচ তাকে অস্বীকার করা হয়। তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়, বিকৃতি করা হয়। এটি যারা করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ক্লাবটি আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এটা কোনো দেশে হয় না। নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন তাদের ভোটাধিকার নাই। যারা সমর্থন করেছিল তাদেরও ভোটাধিকার নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে, তারা রাজনীতি করে, এমপিও নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে জিয়াউর রহমানের কল্যাণে, তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে। যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়েছে।
মঞ্জুরাল ইসলাম বুলবুলের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের যে বিচার হয়েছে সেখানে স্বাক্ষীরা কি বলেছেন, আসামিরা কি জবানবন্দি দিয়েছে, কার সাথে কি মিটিং হয়েছে, জিয়াউর রহমানের সাথে কার কখন মিটিং হয়েছে। জিয়াউর রহমান কিভাবে তাতে সায় দিয়েছে, সহযোগিতা আসে সেগুলো সেখানে বর্ণিত আছে। আরও অনেক বই পুস্তক বেরিয়েছে। কায়সার হামিদ আমাদের ফুটবলার তার বাবা মিস্টার হামিদ। তিনি জিয়াউর রহমানের কোর্স মেইট। তিনি বইয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। তার স্বচক্ষে দেখা ঘটনাপ্রবাহ প্রেক্ষিতে তিনি তা লিখেছেন। বঙ্গভবনে তার লাশ তখনও দাফন হয়নি, ভুরিভোজ হচ্ছে। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কীভাবে খুনিরা ফিসফাস করছে- এ সমস্ত কিছু বইয়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েকজন সেনা অফিসার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তারা সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়েছিল। কেউ যদি সেনাবাহিনী থেকে আউস্টেড হয়, তার সেনানিবাসে প্রবেশ করতে পারেনা। কিন্তু তারা সেনানিবাসে গিয়ে টেনিস খেলতো, ব্যাডমিন্টন খেলতো। তারা কিভাবে এখানে আসলো জেনারেল শফিউল্লাহ যখন জিজ্ঞেস করল তখন তারা বললো সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের অনমুতি নিয়ে আসছে। তারা টেনিস খেলতে গিয়ে ষড়যন্ত্র গুলো করতো। আজকে এইসব প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু একটা কমিশন গঠন করে হত্যাকান্ডে সবিস্তর জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। আজকে যদি তা করা না হয়, তাহলে আজ থেকে ৫০, ১০০ বছর পর ইতিহাস রচিত হবে, কারা হত্যা করেছিল, বিচারে যাদের শাস্তি হয়েছিল তারাই শুধু যুক্ত ছিল।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম ও বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুখ প্রমুখ।