Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
গর্জনিয়া বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গনে ৫০ বছরের বসতবাড়ি ও পাহাড়ী ঢলে রামু নাইক্ষ্যংছড়ি সংযোগ ব্রিজ বিলুপ্ত

গর্জনিয়া বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গনে ৫০ বছরের বসতবাড়ি ও পাহাড়ী ঢলে রামু নাইক্ষ্যংছড়ি সংযোগ ব্রিজ বিলুপ্ত

রামু, কক্সবাজার, প্রতিনিধি:

কক্সবাজার রামু বাকঁখালী নদীর ভয়াবহ ভাংগনে বিলীন হয়ে গেছে বহু বসতঘর, ব্রিজ, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও চাষের জমি।টানা বৃষ্টির পর পুনরায় বৃষ্টি হওয়ার ফলে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভাংগন আরো তীব্র হয়ে উঠায় আরো নতুন নতুন ঘরবাড়ি ভাংগনের কবলে পড়ে। ফলে চরম আতংকে দিন যাপন করছে গর্জনিয়া মাঝিরকাটা, থোয়াঙ্গাকাটা, উত্তর বড়বিল সহ বহু গর্জনিয়ার মানুষ।বিগত ৩ যুগের গর্জনিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ির প্রধান সংযোগ ব্রিজ উত্তর বড়বিল এ সম্পুর্ন ধ্বংস হয়ে গেছে, গর্জনিয়া ইউনিয়নের বেলতলীফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে মাঝিরকাটা ও থোয়াঙ্গাকাট, বড়বিল নদী পাড়ের প্রায় সব বসতবাড়ি প্রবল বন্যায় পানিতে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।  এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষজন অনেক কিছু হারিয়েছে। এ সময়ে অন্তত শত শত বসতঘর, বহু চাষের জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে পাহাড়ী ঢল ও নদী ভাঙ্গনে । ফলে এখানকার নদী ভাংগনে ঘরবাড়ি হারানো লোকজন অনন্যোপায় হয়ে বনবিভাগের জমিতে বা আশপাশে চিপা জমিতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে, অনেকেই ঘড়বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে অন্য এলাকায়।গর্জনিয়া বড়বিল এ বান্দরবান – কক্সবাজারকে এক করতে গর্জনিয়া বাইশারী একমাত্র সংযোগ সড়কে সীমান্ত ব্রিজটি ধসে পড়তে দেখা গেছে । ব্রিজটির মালিকানা নিয়ে রয়েছে কয়েকরকম বক্তব্য! তবেব্রিজটি তৎকালীন বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হাকিমের আমলে নির্মীত হলেও বাইশারীর আওতাধীন নয় বলে সাফ জানিয়েছেন বাইশারীর চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি। গর্জনিয়া ও বাইশারী ২ ইউনিয়নের শেষ সীমান্তে হওয়ায় বিভক্তি রয়েছে ব্রিজের মালিকানা নিয়ে।  এমতাবস্থায় মালিকাহীন হয়ে পড়েছে ব্রিজটি।বান্দরবানের বাইশারী,গর্জনিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি সেতুবন্ধনের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ ব্রিজটি পুননির্মাণে কক্সবাজার সদর-রামু ৩ আসনের সংসদ সদস্য,এমপি কমলে দিকে তাকিয়ে আছে হাজার হাজার জনগণ।একদিকে বাইশারী ও গর্জনিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে পার্বত্য বান্দরবানের স্বপ্নদ্রষ্টা পার্বত্য মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলেই কেবল এই ব্রিজটি পুননির্মিত করে এলাকার মানুষের হাসি ফুটানো সম্ভব।
এদিকে বন্যায় গর্জনিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এলাকায় যেভাবে তাদের সহায় সম্পদ হারিয়েছে তা প্রকাশের ভাষা নেই। গর্জনিয়ার ৬নং ওয়ার্ড- মাঝিরকাটা  বেশির ভাগ এলাকা রামু উপজেলার মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে। মাঝির কাটার ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে মাষ্টার ইসহাক স্যারের বাড়ির মোড় বাঁকখালী নদী এলাকা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, এখানে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ কবর স্তান নদীর ওপারে চলে গেছে, হারিয়ে গেছে গরীব অসহায় মানুষের বাপ দাদার বসত ভিটা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে, ভয় আর আতংক নিয়ে মানুষের জীবন কাটছে। সরকার বা স্থানী জনপ্রতিনিধিরা অনেকে স্বপ্ন দেখিয়েছে এই সব সমাধান করার জন্য, বিএনপি সরকার থেকে বর্তমান আওয়ামীলিগ সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর পর্যন্ত কেউ বাঁকখালী নদী ভাঙ্গনের প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ নেয়নি।এ বিষয়ে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন- মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র সহযোগিতায় উত্তর মাঝিরকাটা থেকে মরহুম ইসলাম সাহেবের ঘর পর্যন্ত প্রায় ২০টি পয়েন্টে ৫০টি গাছের বল্লী বাঁধ দিয়েছিলো, তা কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছিল। এরপর আর বাঁধ নির্মানে কেউ উদ্যোগ নেইনি আজ পর্যন্ত। আজ গর্জনিয়া নদীর পাড়ের মানুষ গুলো বড়ই হুমকিতে দিন কাটাচ্ছে। নদী পাড়ের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামীন এলাকার এ বাঁকখালী নদী ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply