অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীতে কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সেফুদাকে তিনি নাতি হিসেবে সম্বোধন করতেন। সেফুদার সঙ্গে লেনদেনও ছিল হেলেনা জাহাঙ্গীরের।
তিনি আরো বলেন, সেফুদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর নজর কাড়তে চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতের নিয়মিত যোগাযোগ ও লেনদেন রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর অপকৌশলের মাধ্যমে নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লীমাতা’, ‘প্রবাসীমাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাব।
অভিযান শেষে র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহ বলেন, মিরপুরে জয়যাত্রা টিভি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। চ্যানেলটির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। যদিও সম্প্রচারের জন্য চ্যানেলের যে সেটআপ থাকা দরকার, তার সবকিছুই রয়েছে।