রোহিঙ্গাদের জীবন নির্বাহ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দেওয়া ঈদ উপহার এবং কোরবানির জন্য পাঠানো ২৩৫টি গরু পেয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ভাসানচরের রোহিঙ্গারা।
তিনি বলেন, জীবন নির্বাহ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দেওয়া ঈদ উপহার সামগ্রী এবং কোরবানির পশু নিয়ে ওয়্যার হাউজের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের করে রোহিঙ্গারা। তারা গরুগুলোকেও সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। বিভিন্ন ক্লাস্টার এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয় আনন্দ মিছিলটি।
তিনি আরও বলেন, গত দু’দিন ধরেই ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ। প্রথম দিনে পৌঁছে দেওয়া হয় ভ্যান গাড়ি, সেলাই মেশিন ও মাছ ধরার জালসহ নানা সামগ্রী। এরপর যায় ২৩৫টি গরু।
ভাসানচরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, মূলত জীবিকা নির্বাহের নানা সামগ্রী ও সাহায্য সংস্থার মাধ্যমে কোরবানির গরু দেওয়ার জন্য তারা আনন্দ মিছিল করেন। মিছিলকারীরা গরুগুলোর গায়ে মালা ও বেলুন ঝুলিয়ে তাঁদের আবাসের কাছে নিয়ে যান। মিছিলকারী রোহিঙ্গারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বলেও উল্লেখ করেন ভাসানচরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তারা।
কোরবানির বিষয়ে আয়েশা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, ‘ঈদ তো আনন্দের উপলক্ষ। শুনেছি সবার ঘরে ঘরে গরুর মাংস দেওয়া হবে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভালোভাবে ঈদ কাটবে। গত ঈদের মতো এবারও বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন থাকছে। এতো বড় খোলামেলা এলাকা। সবাইকে নিয়ে এখানে ঘুরতেও ভালো লাগে। ’
ভাসানচরের আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্পের পরিচালক কমডোর এম রাশেদ সাত্তার জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো কয়েকটি দেশী-বিদেশী সাহায্য সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে রোহিঙ্গাদের জন্য দুই শতাধিক গরু দিয়ে কোরবানির ঈদের আয়োজন করা হচ্ছে। থাকা প্রতিটি পরিবারের মধ্যে কোরবানির ঈদের দিন মাংস বিতরণ করা হবে।
অন্যদিকে বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাফর আলম জানান, ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য ইসলামিক রিলিফ ১৩৫টি গরু বগুড়া থেকে এনেছে। কোরবানির দিন প্রতিটি গরু দিয়ে ৩৫টি পরিবারের মধ্যে গড়ে দুই কেজি মাংস দেওয়া হবে।