মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা:
নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জান্নাতুন নেচ্ছা চাঁদনী মারামারি মামালায় ভুল সার্টিফিকেট দিয়ে বিপাকে পড়েছেন। স্বাস্থ্য প্রশাসক জানিয়েছেন ঐ মামলার সংশোধনী সার্টিফিকেট দেয়া হবে না।
জানা যায়, গত ২৫/০৫/২০২১ইং মোহনগঞ্জ পৌরসভার বারইছিড়া এলাকায় ঝনু গোস্বামী বাড়ীর সম্মুখে সকাল ৯.৩০টায় সহকারী শিক্ষক তপন কুমার পালের সাথে ঝনু গোস্বামীর মারামারি সংঘটিত হয়। তপন কুমার পাল ২৬/০৫/২০২১ইং তারিখে ৬জনকে আসামী করে মোহনগঞ্জ থানায় মামালা নং ১৪ রুজু করা হয়। ২নং আসামী চয়ন গোস্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শহীদ স্মৃতি কলেজ (আর্দশ নগর, মোহনগঞ্জ) এর অধ্যক্ষ এক স্বারকে জানান, ঐ সময়ে চয়ন গোস্বামী তার কলেজে ছিল। ঐ দিন কলেজে এক ভি.আই.পি-র বৃক্ষ রূপন কর্মসূচী ছিল।
ঝনু গোস্বামী ৭ জনকে আসামী করে ১৫নং মামলায় রুজু করেন। ২টি মামলা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মারামারি সময় দিয়েছেন সকাল ৯.৩০ঘটিকায়। ঘটনার স্থান থেকে হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার হলেও মোহনগঞ্জ হাসপাতালে ২পক্ষের ৬জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন সকাল ৯.৩০ঘটিকায়। একই সময়ে মারামারি ও ১ কিলোমিটার দূরে একই সময়ে ২পক্ষের রোগীকে কিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হল তা জনমনে প্রশ্ন।
মোহনগঞ্জ হাসপাতাল হতে ডাঃ চাঁদনী শিক্ষক তপন কুমার পালের পক্ষে ১টি সার্টিফিকেট মোহনগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন। সার্টিফিকেট প্রেরণের পর ধরা পরে ভূল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। ডাঃ চাঁদনীর দেওয়া সার্টিফিকেট থানা থেকে ফেরৎ আনার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু হয়। সর্বশেষ ২৭/০৬/২০২১ইং মোহনগঞ্জ থানার এস.আই মোঃ মমতাজ উদ্দিন জানান, সার্টিফিকেট ফেরৎ দেওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। আপনি অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বলেন। অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান এর সাথে ডাঃ চাঁদনী কথা বললে, তিনি বলেন ফেরৎ দেয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকে সংশোধনী সার্টিফিকেট থানায় পাঠাতে পারেন। হাসপাতাল থেকে সংশোধনী সার্টিফিকেট না পাঠিয়ে পূর্বের সার্টিফিকেট ফেরৎ চেয়ে চিঠি দেন। ডাঃ চাঁদনী তদন্ত কর্মকর্তাকে সংশোধনী সার্টিফিকেট দিচ্ছি আজ নয় কাল বলে সময় ক্ষেপন করেন।
ডাঃ চাঁদনীর সাথে সংশোধনী সার্টিফিকেট এর ব্যাপারে কথা হলে, তিনি বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা/ আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সাথে কথা বলতে পারবেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুবীর সরকার বলেন, আমি কিছুই জানি না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ নুর মোহাম্মদ শামছুল আলম জানান, আমাদের এত সময় নেই সংশোধনী সার্টিফিকেট দেওয়ার। যে সার্টিফিকেট থানায় দিয়েছি তা দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করবেন। শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে তপন কুমার পাল মামলার কাগজপত্র দিবেন বললেও আর তিনি যোগাযোগ করেননি। অপর মামলার বাদী ঝনু গোস্বামী ডাঃ চাঁদনী কর্তৃক বিতর্কিত সার্টিফিকেট থানায় দেওয়ায় তিনি সিভিল সার্জন, উপজেল চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, প্রেসক্লাবে স্বারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। জানা যায় ১৭ই জুলাই পর্যন্ত থানায় প্রেরিত বিতর্কিত সার্টিফিকেট বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।