ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রাত গড়িয়ে আসলে এখনও যানজট কমেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ও মেঘনা সেতুর মাঝামাঝি অবস্থিত লাঙ্গলবন্ধ সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ ডেক-স্ল্যাব মেরামত কাজ করার চলছে। এ জন্য মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানবাহন গুলোকে শুধু সেতুর একপাশ দিয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত লাঙ্গলবন্ধ সেতুর উপর দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ অবস্থায় সড়ক বিভাগ থেকে বিকল্প পথ হিসেবে হালকা যানবাহনগুলোকে মোগড়াপাড়া-কাইকারটেক ব্রিজ-নবীগঞ্জ-মদনপুর সড়ক এবং ভারী যানবাহনগুলোকে কাঁচপুর-ভুলতা-নরসিংদী-ভৈরব ব্রীজ -সরাইল- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
এতে করে মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে তীব্র যানজটের কারনে শতশত যানবাহনের চালকেরা পন্য নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
পন্যবাহি ট্রাক চালক মাহাবুবুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাব কিন্তু নারায়নগঞ্জ এলাকায় ব্রীজে কাজ চলার কারণে সেই সড়কটি বন্ধ রয়েছে। ফলে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই সড়ক দিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডে যানজটে পরেছিলাম। দীর্ঘ ৮ ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার পথ পার হয়েছি। কখন যে চট্টগ্রামে পৌছাব তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।
কার্গো ভ্যাসেলের (১২ চাকার ট্রাক) চালক রাজন হাসান বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডে পৌছি, বিকাল ৫টায় আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর অতিক্রম করছি। প্রায় ৮ ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছি। তিনি বলেন বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কটি অনেকটা সংকোচিত। সরকারের এনিয়ে ভাবা উচিৎ। তিনি বলেন সড়কটি প্রশস্ত হলে আমাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পরে থাকতে হতো না।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল ইসলাম বলেন, নারায়নগঞ্জ জেলার লাঙ্গলবন্ধ সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর ডেক স্ল্যাব মেরামত করা হচ্ছে। যার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- কুমিল্লা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিয়ন্ত্রনে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।
তিনি বলেন, তবে লকডাউনের কারণে যাত্রীবাহী বাসসহ গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রী ভোগান্তি তেমন নেই। তবে অভ্যন্তরিন সড়কে হালকা যানবাহন বিশেষ করে প্রাইভেটকার এবং সিএনজিচালিত অটোরিকসার যাত্রীরা যানজটে পরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বুধবার বিকেল ৩টার পর ব্রীজের মেরামত কাজ শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করছেন তিনি।