অনলাইন ডেস্ক:
আমরা জানি আমাদের দেশে সংক্রমণ কমাতে গেলে আরো সময় দরকার। একই সঙ্গে ঈদকে কেন্দ্র করে অনেক বড় অর্থনীতির একটি বিষয় জড়িত। এই বিষয়টাকে সরকারের বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। অর্থনীতিকে একবারে শূন্য করে দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়। যাঁরা ঈদকে কেন্দ্র করে গরু লালন-পালন করেছেন তাঁদেরকে তো গরু বিক্রি করার সুযোগ দিতে হবে। সব দিক বিবেচনা করে, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল আছে। যাঁরাই বাইরে বের হবেন, দয়া করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এই প্রত্যাশা সরকার করছে। আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই স্বাস্থ্যবিধি মানা দরকার।
একাধারে দীর্ঘদিন মানুষকে ঘরে আটকা রাখা যায় না। উদাহরণসরূপ এক পরিবারের চারজন উপার্জনক্ষম মানুষ। তাঁদের একজন হয়তো জরুরি সেবার আওতায় কাজ করছেন। বাকি তিনজনের জন্য তো চিন্তা করতে হবে। এ কারণে শুধু ঈদ উপলক্ষে যে অর্থনীতি ও মানুষের চলাচল, তাকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহের জন্য এই সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেখে কাজ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে—সংক্রমণ এখন বাড়ছে। বিশেষ জরুরি কাজ ছাড়া কেউ যাতে চলাফেরা না করেন তার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ থাকছে। আমরা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আছি, এই অনুভূতি নিয়েই সবাই যেন নিজের সিদ্ধান্তগুলো নেন। নিজেদের অবহেলার কারণে করোনা আক্রান্ত হলে নিজেরই তখন আফসোস লাগবে। এত মানুষের ভালো চিকিৎসা দেওয়া কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। করোনা তো চোখে দেখা যায় না। একে ঠেকানোর বিকল্প কোনো অস্ত্র আবিষ্কার হয়নি। আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা।
ঈদকে ঘিরে কিছু বাস্তবতা আছে। এখানে এক সঙ্গে দুটি বিষয় কাজ করছে। এক হচ্ছে ধর্মীয়, দ্বিতীয় হচ্ছে অর্থনীতি। এগুলো তো আমাদের মানতেই হচ্ছে। ঈদের পর আবার কঠোর লকডাউন থাকছে। তাই এক সপ্তাহ খোলার সময়টাকে আমরা যেন অপব্যবহার না করি। সবাইকে নিজ নিজ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলতে হবে। আমি সুস্থ থাকলে আমার পরিবার সুস্থ থাকবে এই বিষয়টা মাথায় নিয়ে আমরা সবাই চলব আশা করি।