নীলফামারী সংবাদদাতা:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে দুপুরের পর থেকে তিস্তার পানি কমতে থাকে। এদিকে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় পানির তোড়ে ডাউয়াবাড়ী এলাকায় প্রধান ডান তীর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধ রক্ষায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্বাভাস সর্তকীকরন কেন্দ্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে তিস্তার ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার)। এরপর থেকে কমতে শুরু করে তিস্তার পানি। দুপুর ১২টায় ২০ সেন্টিমিটার কমে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৪ টায় বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই,টেপাখড়িবাড়ী,খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরের মানুষজন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি সকাল ৬টা থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুরের পর তা কমতে শুরু করে।