ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাদির (৫০) নামের এক ব্যক্তির খুন হওয়ার ঘটনায় সরাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী হেলেনা বেগম বাদী হয়ে আদম ব্যবসায়ী রমজান মিয়াকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নাম উল্লেখ্য একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মাসুম প্রকাশে লালু নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত আব্দুল কাদির সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের সোলাবাড়ি গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার তরিবুল্লার বাড়ির মৃত বজলুর রহমানের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ইরাক যাওয়ার জন্য সোলাবাড়ি এলাকার মৃত নিল মিয়ার ছেলে আদম ব্যবসায়ী রমজান মিয়ার কাছে পাসপোর্ট সহ সাড়ে ৩লক্ষ টাকা দেন আব্দুল কাদির৷ পরে ইরাক যাওয়ার পর পুলিশ আব্দুল কাদিরের ভিসার মেয়াদ নাই বলে ৯দিন জেল খেটে দেশে ফেরত পাঠান। আব্দুল কাদিরের কাছ থেকে বিদেশের জন্য নেওয়া ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে ১ নং আসামী টাকা দিচ্ছি বলে ঘুরাইতে থাকে। শালিশের মাধ্যমে চেষ্টা করা হলে ১ ও ২ আসামী আব্দুল কাদিরকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ওই মামলায় উল্লেখ্য আছে, গত বুধবার (৩০জুন) রাতে বাড়িতে ফেরার পথে রমজান মিয়ার পক্ষের ২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ নিয়ে আব্দুল কাদিরের উপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে গুরুতর আহত হলে আব্দুল কাদিরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে সখিনা বেগম জানান, এর আগেও রমজান মিয়া এলাকায় আরও অনেকটি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল। এখন আবার তার বাবাকে সামান্য পাসপোর্ট নিয়ে খুন করেছে। রমজান মিয়ার এত শক্তির উৎস কি?এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন বড়বড় অপরাধ করে রমজান মিয়া পাড় পেয়েছে। কেন তারা সঠিক বিচার পাবে না। রমজান মিয়ার খুঁটির জোর জানতে চাই সরাইলবাসী।।
মামলার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করলে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আব্দুল কাদির নামের একজনকে খুন করার দায়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন আসামীকে আটক করা হয়েছে। রমজান মিয়া মানুষ তেমন সুবিধার না। আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত চলছে।