অনলাইন ডেস্ক:
কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে আজ থেকে দেশজুড়ে সাত দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, সরকারের আদেশ মেনে জরুরি কাজ ছাড়া নাগরিকরা অযথা রাস্তায় বের হচ্ছেন না। বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চারজনকে ১১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরুরি কাজে বের হলেও মাস্ক না থাকায় তাদের জরিমানা করা হয়।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা দেয়া ব্যক্তিরা হলেন, খায়রুল ইসলাম ২০০ টাকা, মোহাম্মদ ইসলাম ২০০ টাকা, সোহেল রানা ৫০০ টাকা ও রুবেল মিয়া ২০০ টাকা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা দেয়া খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি বিআরটিএতে গিয়েছিলাম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার জন্য। কিন্তু দিতে পারিনি। মাস্ক পরেননি কেন জানতে চাইলে বলেন, মাস্ক ছিল। বৃষ্টিতে ভিজে গেছে বলে ফেলে দিয়েছি।
শাহবাগ মোড় হয়ে মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়া প্রায় প্রতিটি গাড়িকে থামিয়ে তাদের গন্তব্য কোথায়, কেন যাচ্ছেন, তা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। প্রথম আধাঘণ্টায় যাদের পাওয়া গেছে, তাদের অধিকাংশ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে বের হয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, সংক্রমণের হার কমাতে সরকার যে বিধিনিষেধ দিয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আজকে এখন পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হয়েছে এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাগরিকরা সরকারের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন, বিগত সময়ে মানুষ যেভাবে তুচ্ছ কারণে বের হয়েছে, এবার তেমনটা দেখা যাচ্ছে না।