মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বানারশিপুর সরকারি- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ শারমিন আক্তার শিক্ষা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের কে ম্যানেজ করে দীর্ঘ আড়াই বছর একটি কক্ষে সন্তানাদি, পারিবারিক জিনিষ পত্র সহ মাদক আসক্ত স্বামীকে নিয়ে বসবাস করেছেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপজেলা প্রশাসন দ্রুত স্কুল ত্যাগ করার নির্দেশ সহ শোকজ নোটিশ প্রদান করেন।
জানাযায়, সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ শারমিন আক্তার ৩০-১০-২০১০ ইং বানারশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি ২০১৯ সনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে তিনি শিক্ষা অফিস কে ম্যানেজ করে একটি কক্ষে পারিবারিক আসবাব পত্র, সন্তানাদি, মাতাল স্বামী নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য, অভিভাবক স্কুলে বসবাস কেমনে করছেন প্রশ্ন করলে? শিক্ষিকা বলেন শিক্ষা কর্মকর্তারা থাকতে বলেছেন। সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বিজয় সরকার বলেন, আমি স্কুল পরিদর্শনে গেলে কক্ষে শিক্ষিকা বসবাস চোঁখে পড়েনি । ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আব্দুল আওয়াল বলেন, আমি জানি না।। মাতাল স্বামী কিবরিয়া ও শারমিন আক্তারের অসংলগ্নতা বেড়ে গেলে একজন সাংবাদিককে জানান।
২৪ জুন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানবেন্দ্র দাস মোবাইলে স্কুলে শিক্ষিকা আড়াই বছর যাবত বসবাস করছেন প্রশ্ন করলে ? তিনি বলেন আমি মার্চ/২০২১ ইং যোগদান করেছি । বিধায় বিষয়টি জানি না । উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির হাসান কে জানালে তিনি বলেন, আপনার কাছ থেকে আমি প্রথম শুনলাম। ঐ সাংবাদিক সরেজমিনে স্কুলে যাবার আগেই তড়িঘড়ি করে স্কুল থেকে জিনিষপত্র নিয়ে শিক্ষিকা ত্যাগ করেন । ম্যানেজিং কমিটি সহ গ্রামবাসী জানান, শারমিন আক্তার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পেয়ে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে উঠেন। তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। সরকারি বরাদ্দ কাউকে জানান না। ম্যানেজিং কমিটি কে পাশ কাটিয়ে ভূয়া স্বাক্ষরে বেতন তুলেছেন, সরকারি- বরাদ্দ উত্তোলন সহ নিজের ইচ্ছামত খরচ দেখিয়েছেন। গ্রামবাসী সরকারি বরাদ্দ সহ খরচাদি জানতে চায়। শারমিন আক্তার সরকারি টাকার অনিয়ম সহ আত্বসাৎ এর তদন্তসহ অন্যত্র বদলি চায় গ্রামবাসী। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে শিক্ষিকা শারমিন আক্তারের বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে মোবাইলে অবহিত করেন।
পরবর্তী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানবেন্দ্র দাস বলেন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তাকে আজ ২৮ জুন বসবাসের জন্য শোকজ করা হয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বিষয়টি ভাল ভাবে তলিয়ে দেখবেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান এর সাথে কথা হলে বলেন, তদন্তে সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।