অনলাইন ডেস্ক:
সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় চলছে কেবল রিকশা। পণ্যবাহী কিছু যানবাহনও চলতে দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় শপিংমলও বন্ধ রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় আজ সোমবার থেকে সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে আগামী তিন দিনের জন্য বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। এ সময়ে পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদনকেন্দ্র। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও বসে খাওয়া যাবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হবে। আর বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে।
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত এটাই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ২৬৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এর আগে থেকে বিধিনিষেধ জারি ছিল, যার মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত। এর মধ্যে অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্তের জেলাগুলোতে লকডাউন দেয়া হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২২ জুন থেকে ঢাকার আশপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ এই সাত জেলায় কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকার সাথে বাস, লঞ্চ ও রেল যোগাযোগ।