লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
স্পিনা রানী প্রামানিক। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর – রামগঞ্জের সদ্য বিদায়ী সার্কেল অফিসার। কর্মকালে নানা ক্ষেত্রে অর্জন করেছেন শ্রেষ্ঠত্ব। সম্প্রতি এএসপি স্পিনা রানীকে লক্ষ্মীপুর থেকে বদলি করে কুমিল্লা ও হোমনা থানার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে বিদায় দেয়া হয়। বিদায়লগ্নে প্রশংসা ভাসছেন তিনি।
২০১৯ সালে লক্ষ্মীপুরে যোগদানের পর থেকেই রায়পুর এবং রামগঞ্জের মানুষের কথা চিন্তা করেই তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে গেলেন। স্পিনা রানী চলনে-বলনে-কথাবার্তায় এবং আচরণে খুবই ভালো একজন মানুষ। একজন সৃজনশীল – সৃষ্টিশীল মানুষ। লক্ষ্মীপুরের মাটি এবং মানুষকে আপন ভেবেই কাজ করেছেন দীর্ঘ দুই বছর। পুলিশের এই এএসপি রায়পুর – রামগঞ্জের প্রতিটি থানা এবং ফাঁড়িকে সুসজ্জিত করেছেন। কোভিড -১৯ মোকাবেলায় তিনিও তার টিম বিরাট ভুমিকা পালন করেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি খাবার দিয়ে সাহায্য করতেও দেখা যায় পুলিশের এই নারী কর্মকর্তাকে।
পুলিশের মুগ্ধতা ছড়ানো এই কর্মকর্তা দিন রাত নিরলসভাবে কাজ করে যেতেন। যেকোন মামলার তদন্তে চলে যেতেন ঘটনাস্থলে। রাতে চেকপোস্ট পরিদর্শন সহ সহকর্মীদের সাহস দিতে গাড়ি নিয়ে কখনো রায়পুর কখনো রামগঞ্জে ছুটে যেতেন। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং করতেন প্রতিনিয়ত। শীতবস্ত্র বিতরণসহ যেকোন সমস্যার সমাধানই ছিল মূল লক্ষ্য।
রায়পুর থানার সামনে অসহায় রোকেয়া বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এএসপি স্যার রায়পুর থেকে চলে যাচ্ছেন। খুব কষ্ট লাগছে তার জন্য। করোনা পরিস্থিতিতে তার কার্যালয়ে আমাকে খাবার দিয়েছেন, শীতবস্ত্র দিয়েছেন। তার মতো আর কেউ আমার খোঁজ নেবে না।
পুলিশ সদস্য মোঃ কাইয়ুম বলেন, এএসপি স্পীনা রানী স্যারের সঙ্গে ৭৮৭ দিন রায়পুর ও রামগঞ্জে চাকরি করার সৌভাগ্য হয়। স্যারের মতো ভালো পুলিশ অফিসার ১৫ বছরেও পাইনি। স্যার ছিলেন দুই উপজেলার পুলিশ এবং সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসার ব্যক্তি। সাধারণ মানুষের অনেক উপকার করেছেন। এজন্যই স্যারের বিদায়ে কেঁদেছেন অনেক মানুষ।
এমন আরও অনেক ভালো কাজের জন্যই স্পিনা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন লক্ষ্মীপুরের মানুষের কাছে।