অনলাইন ডেস্ক:
ব্রহ্মপুত্র ছাড়া সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে যাওয়ায় দু-এক দিনের মধ্যে কোনো কোনোটির পানি স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে ব্যারাজের ভাটি এলাকা গঙ্গাচড়ার প্রায় ১৫টি চরের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ ছাড়া কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির বাকি অংশ আবারও ভেঙে যাচ্ছে।
গতকাল সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল আছে, অপর দিকে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে।
পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি স্পটের মধ্যে গতকাল ৬৯টির পানি বেড়েছে, ২৯টির কমেছে। তবে অপরিবর্তিত ছিল দুটি এলাকার পানি।
এদিকে আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাত কমার কথা বলা হয়েছে। তবে গতকাল সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথায়ও কোথায়ও বিক্ষিপ্তভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১০৫ মিলিমিটার।
গঙ্গাচড়ায় পানিবন্দি দুই হাজার পরিবার
রংপুর অফিস জানায়, রবিবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার (৫২.৬০ সেন্টিমিটার) ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বৃদ্ধির কারণে ব্যারাজের ভাটি এলাকা গঙ্গাচড়ার প্রায় ১৫টি চরের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ ছাড়া কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির বাকি অংশ আবারও ভেঙে যাচ্ছে।