অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত ২০ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয় গুলশান কার্যালয়। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন। ওই সভায় ফুসফুসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মহাসচিব বলেন, স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় আরো উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি দেওয়া জরুরি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রয়োজন। সকল প্রকার রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে তাঁর সর্বোচ্চ চিকিৎসা এ দেশের মানুষের প্রাণের দাবি।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বিএনপি জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও কভিড পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি ঝুঁকি মুক্ত নন। তার হৃদরোগের সমস্যা আছে। কিডনি এবং লিভারের সমস্যাও বেশ জটিল। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন দুইবার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করেন যে, তার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে যার সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম।
দলটির মহাসচিব বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, অপরিকল্পিত লকডাউন,সাধারণ ছুটিতে বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের জীবন একেবারেই বিপন্ন।কর্মচ্যুতি, কাজের অভাব, চিকিৎসার অভাব, সরকারি সাহায্য, প্রণোদনা, ক্যাশ ট্রান্সফার দরিদ্র মানুষের কাছে পৌছাতে না পারায় অর্থনীতির সকল সূচক নিম্নগামী হয়েছে।’
বিএনপির অভিযোগ, শতকরা ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা প্রদান করতে হলেও ২৬ কোটি টিকা প্রয়োজন যার শতকরা ৩ ভাগ সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার। নিজস্ব দলীয় ব্যক্তির মালিকানার কম্পানিকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়ায় গোটা জাতি আজ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
গত ১৯ জুন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসার পর খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন।