অনলাইন ডেস্ক:
টানা ৫৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সরাসরি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলের বিভিন্ন নেতা, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, পরিচারিকা ফাতেমা প্রমুখ ছিলেন।
এর আগে গতকাল খালেদা জিয়ার শারীরিক বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে তাঁর জন্য গঠিত অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের বোর্ড। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ২৮ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে ৩ মে তাঁকে সিসিইউয়ে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) নেওয়া হয়। অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে গেলে গত ৩ জুন তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এত দিন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতালে থাকতে খালেদা জিয়ার মোট পাঁচবার জ্বর আসে। এটাকেই চিকিৎসকরা ‘ক্রস ইনফেকশন’ বলে মনে করছেন। তাঁরা বলছেন, এভারকেয়ার হাসপাতালের সর্বোচ্চ চিকিৎসা খালেদা জিয়াকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা-পরবর্তী জটিলতায় তাঁর শারীরিক অবস্থা যেখানে দাঁড়িয়েছে, তাতে তাঁর বিশেষায়িত চিকিৎসা দরকার। বিদেশে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে মাল্টিসিস্টেম ডিজিজ ম্যানেজমেন্টের জন্য অগ্রিম সুবিধা পাওয়া যায়—এমন একটি উচ্চতর কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেছে মেডিক্যাল বোর্ড।
বিএনপির দলীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অব্যাহত আছে।
এর আগে ১১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে খালেদা জিয়ার। ১৫ এপ্রিল সিটি স্ক্যান করানো হয় তাঁর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এক মাস পর গত ৩ জুন খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ৫ মে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে লিখিত চিঠি দেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার। যদিও সরকার তাতে এখনো সাড়া দেয়নি।