ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মসজিদে খতিবের বয়ানকে কেন্দ্র করে দু-গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ২০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুন) সুহিলপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।।
দুপুরে স্থানীয় বাবে জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে দু-গোষ্ঠীর সরদারদের মধ্যে বাকবিতন্ডায় হয়। পরে এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকেরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে উভয় গোষ্ঠীর অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গোপীনাথপুর গ্রামে ভূইয়া গোষ্ঠী চুনু মিয়ার ছেলে শিপন মিয়ার ও হাজী গোষ্ঠীর রশিদ মিয়ার ছেলে খায়ের মিয়া লোকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ চলে আসছে৷ শুক্রবার স্থানীয় বাবে জামে মসজিদে জুম্মার নামাজে খুদবায় খতিব মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী বয়ান রাখেন। এনিয়ে জুম্মার নামাজের পর মসজিদ থেকে বের হয়ে শিপন মিয়া ও খায়ের মিয়া মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এই বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন।
এরমধ্যে হাজী গোষ্ঠীর মোশারফ হোসেন(৪০),
খায়ের মিয়া(৩৫), রশিদ মিয়া, সিরাজ মিয়া(৬০), রহিজ মিয়া(৬৫), বাহার মিয়া(৫৫), রশিদ মিয়া, জাবের হোসেন(৩৫), ভূইয়া গোষ্ঠীর শিপন(৪০), কামাল মিয়া(৫০), এমরান(৩০), হাবিবুল্লাহ(২৫), মরিয়ম(৩০, হোসনে আরা বেগম(৬৫) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাকি আহতদেরকে স্থানীয় ফার্মেসি ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের সবার মাথায় আঘাত। গুরুত্ব আহত ৯ জনকে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। আহত রহিজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেযে প্রেরণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইনী সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।