অনলাইন ডেস্ক:
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার আরবি সাংবাদিক জিভারা বুদেইরিকে আটকের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারা এলাকা থেকে তাকে আটক করে ইসরায়েলি পুলিশ। আটকের পর এই নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার জেরুজালেম প্রতিনিধিকে আটক ও লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি ক্যামেরাম্যান নাবিল মাজাউয়ির হাতে থাকা সরঞ্জাম ভেঙে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জিভারা বুদেইরি আলজাজিরাকে বলেন, তারা (ইসরায়েলি পুলিশ) চারদিক থেকে আসে এবং আমাকে লাথি মেরে দেয়ালে ফেলে দেয়। আমি জানি না কেন। গাড়ির মধ্যে উঠিয়ে তারা আমাকে খুবই বাজেভাবে লাথি মারতে থাকে। আমার শরীরের সব স্থানে লাথি মেরেছে, যোগ করেন তিনি।
এদিন ইসরায়েলি দখলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ৫৪তম নাকশা দিবসের সংবাদ সংগ্রহ করতে সেখানে গিয়েছিলেন এই সাংবাদিক। ১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনিদের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছিল। সেটির স্মরণে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তফা সওগ। তিনি বলেন, সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়ত আমাদের সাংবাদিকদের টার্গেট করছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সাংবাদিকদের মৌলিক মানবাধিকারকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছে।
এর আগে জেরুজালেম থেকে আলজাজিরার আরেক সংবাদকর্মী হোদা আবদেল হামিদ জানিয়েছেন, বুদেইরিকে কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তখন তার গায়ে ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট ছিল। এমনকি হয়রানি এড়াতে তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রেস কার্ডও দেখিয়েছিলেন পুলিশকে।
তিনি বলেন, ‘তাকে ক্রমাগত ধাক্কানো হচ্ছিল। তখন সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে ক্যামেরাটিও ভেঙে ফেলা হয়।’ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আবদেল হামিদ আরো বলেন, ‘ইসরায়েলি পুলিশের চড়াও হওয়ার মতো কোনো ঘটনাই সেখানে ঘটেনি। তবু তারা কেন বুদেইরির ওপর চড়াও হলো তা স্পষ্ট নয়।’
এদিকে ইসরায়েলি পুলিশের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য হয়রানির কারণ হতে পারেন এমন সন্দেহে এক নারী ও এক পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা।