কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড মিলপাড়া এলাকা বর্তমানে লুটবাজদের দখলে রয়েছে বলে এলাকাবাসীর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে । এই লুটবাজরা মিলপাড়া অঞ্চলের সরকারি জমি দখল , খাস জমি দখল,নদীর জমি দখল,মাদক ব্যবসা, জুয়া খেলা, চুরি, ছিনতাই সহ এমন কোন এহেন কাজ নেই যে তারা করে না। এসব অপকর্মের নেপথ্যে রয়েছে, এক সময়ের ভুমি খেকো নামেই পরিচিত ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান জিয়া,স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান খান রনি,যুবলীগ নেতা সুজন,ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের আওতাধীন গড়াই ইকো পার্কের নাইট গার্ড ফারুক। একাধিক সুত্রে জানা যায়,মিলপাড়া ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান জিয়া কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় সরকারী খাস জমি ও রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার এই অপকর্মের কারনে সাধারন জনগন তাকে ভোট না দিয়ে প্রত্যাক্ষান করেন । বর্তমানে মিলপাড়া এলাকায় রাজনৈতিক কোন্দলের কারনে শক্তিশালী গ্রুপের ছত্রছায়ায় জিয়া ও যুবলীগ নেতা সুজন শ্মশান সংলগ্ন গড়াই নদীর চরে নদীর জায়গা বিক্রয় করছে। এ ছাড়াও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান খান রনি সরকারিভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে বাহাদুর খালী মৌজার বালি মহাল ক্রয় করেছে। তার বালি উত্তোলনের পয়েন্ট শ্মশান সংলগ্ন গড়াই ইকো পার্কের পূর্ব দিকে নদীরক্ষা বাধের সাথে। প্রতিদিন শতশত ড্রাম ট্রাকে করে সেখান থেকে বালি উত্তোলন হচ্ছে। আর এই ড্রাম ট্রাকগুলো প্রায় ৭০০-৮০০ ফিট বালি নিয়ে গড়াই নদীর বাধ সংলগ্ন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের নব নির্মিত রাস্তার উপর দিয়ে বেগতিকভাবে বীর দর্পে চলাচল করছে। যারফলে যেকোন সময় রাস্তায় চলাচলরত পথচারীদের দূর্ঘটনা হতে পারে এবং নবনির্মিত রাস্তা খুব অল্পদিনেই ভেঙ্গে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ছাড়াও জেলা পরিষদের নাইট গার্ড ফারুক গড়াই ইকো পার্ক পাহারা দেওয়ার নামে সেখানে গাজা ইয়াবা এবং নারী দিয়ে দেহ ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এর আগে ফারুক এমন অপকর্ম করার কারনে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম তাকে ইকো পার্কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আবারো জেলা পরিষদের কার্যালয়ে নাইট গার্ডের দায়িত্বে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জিয়া,রনি,ও সুজনের সিন্ডিকেটের সাথে যোগদান করে বিভিন্ন মাধ্যমে আবারো গড়াই ইকো পার্কের দায়িত্বে এসে বিভিন্ন রকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ফারুক । নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের রাস্তা থেকে ৭ ফিট দূরে রয়েছে জেলা পরিষদের আম গাছ। সেই আমগাছগুলো ড্রাম ট্রাকের যাতায়াতের জন্য সমস্যা হওয়ার কারনে কেটে ফেলেছে তারা। শুধু তাই নয় কিছুদিন আগে এই চক্রটি সামনে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি ভড়ে গেলেও বালি বিক্রয় করবে এই লক্ষে তারা ভাটাপারা হাটের মাঠে আবাসিক এলাকার মধ্যে বালি সঞ্চয় করে রেখতে চেয়েছিলো। কয়েক ড্রামট্রাক সেখানে বালি ফেলার পর স্থানীয়রা বাধা দিলে বালি ফেলা বন্ধ করে দেয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিলপাড়া মহাশ্মশান সংলগ্ন নদীরক্ষা বাধ এবং জেলা পরিষদের গড়াই ইকো পার্কের পশ্চিম ও পূর্ব পাশের দুইটি গেটের সামনে পানি উন্নয়নবোর্ডের জায়গায় ইট ও রড দিয়ে দোকান মার্কেট নির্মান করার লক্ষে ওয়াহেদুজ্জামান খান রনি ও তার সাথে সদস্যরা প্রাচীর তৈরি করেছে। যা পুরোপুরি অবৈধভাবে করেছে। এই প্রাচীর দেওয়ায় রাস্তা এবং প্রাচীরের মাঝখানের ফাকা জায়গা আমগাছ যেখানে রয়েছে সেখানে সুকৌশলে বালি ফেলে আমগাছগুলো নিধন করার মিশন তৈরি করেছে। যারফলে আমগাছগুলো দ্রুতই মারা যাবে। আর আমগাছগুলো মারা গেলে দোকানের জায়গা খুবই পরিষ্কার হয়ে যাবে।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে বারবার রিং দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।