এম আর অভি, বরগুনা :
বরগুনা শহরের উকিল পট্টির পিছনে খাকদোন নদীর তীরে ঘর উঠিয়ে সরকারি খাস জমি দখলের মহোৎসব চলছে । এক শ্রেণীর ভূমি দস্যুরা প্রশাসনের বাধা-নিষেধ অমান্য করে শহরের খাকদোন নদী ও ভড়ানী খালের পাড়ে নানা কৌশলে সরকারি জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এমন দখলদারিত্ব।
শনিবার সরোজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় ,শহরের উকিল পট্টির পিছনে খাকদোন নদীর তীরে ঘর উঠিয়ে সরকারি জমি দখল করেছে কতিপয় ভূমি দস্যূরা। এ সব ভূমি দস্যূরা শুধু নদী তীরের সরকারি খাস জমি দখল করে ক্ষান্ত হননি সাথে সাথে নদীও দখল করেছে। নদী তীরের সরকারি জমিতে ব্রিজের কোল ঘেঁষে ঘর উঠিয়ে ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তবে নদী তীরের সরকারি খাস জমি ও নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে বরগুনার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায় না।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে, উকিল পট্টির পিছনেএ সব ভূমি দস্যুরা অন্যত্র থেকে টিন-কাঠ ও প্রেরক দিয়ে আলাদা আলাদা ফ্রেম তৈরি করে রাঁতের আধাঁরে কৌশলে ঘর উঠিয়ে সরকারি খাস জমি দখল করছে। এছাড়াও মাছ বাজার ব্রিজের গোড়ায় লাকুরতলা ,পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন মসজিদের পশ্চিম পাশে, শহরের মাদ্রাসা সড়কে সরকারি জমি দখল ঘর উঠিয়ে নতুন টিনে আলকাতরা এঁটে দিয়ে ঘর পুরোনো বানানো হয়েছে। যাতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চোখে ঘর এরিয়ে যায়। সদর রোড পশ্চিম বরগুনা খাকদোন নদীর তীর ঘেঁসে অবৈধ ভাবে ঘর উঠয়ে সরকারি খাস জমি ও নদী দখল করা হয়েছে ।
শহরের উকিল পট্টির পিছনে অবৈধ দখলদাররা ঘর উঠিয়ে কিছু নিজেরা ব্যবহার করছে, আবার কেউ কেউ ভাড়া দিয়ে এবং বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আয় করছে। সরকারি জমিতে ঘর উঠিয়ে অবৈধ ভাবে দখল করে ঘন-বসতি সৃষ্টি করায় পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যার কারণে জনস্বাস্থ্য আজ হুমকির মুখে। অবৈধ ভাবে ঘর উঠিয়ে সরকারি খাস জমি দখল করায় বর্তমানে রাস্তা থেকে নদীটি আর দেখা যায় না। আজ অবৈধ দখলদারদের ঘরের আড়ালে পড়ে রয়েছে বরগুনার এক সময়ের সেই প্রবল-প্রমত্তা খাকদোন নদী। দখলদারদের দৌরত্বে ঐতিজ্যবাহি নদীটি আজ পরিণত হয়েছে মরা খালে।
বরগুনার সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ঘর উঠানোর বিষয়টি আমি শুনেছি , ঘর উঠাতে নিষেধ করতে লোক পাঠিয়েছি। নিষেধ অমান্য করে ঘর উঠালে দখলদারদের তালিকা করে মোবাইল কোটের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব ।